মুম্বই: হাজারো বিধিনিষেধ জারি করেও বাগে আসছে না করোনা সংক্রমণ(COVID-19)। বাণিজ্যনগরীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মুম্বই পুরসভার (BMC) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩৪৭ জন, যা গতকালের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। গত একদিনে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
মুম্বই(Mumbai)-তে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার শহরে নতুন করে ৩ হাজার ৬৭১ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। যা এক দিন আগেরসংক্রমণের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি ছিল। শনিবার সেই আক্রান্তের সংখ্যাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৪৭-এ, যা গতকালের সংক্রমণের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। করোনার এই হঠাৎ বৃদ্ধির পিছনে ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণই দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০০ পার করেছে। এর মধ্যে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রেই (Maharashtra) , সেখানে এখনও অবধি ৪৫৪ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। গতকালই বৃহ্নমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছিল যে ২৮২ টি নমুনার মধ্যে ৫৫ শতাংশ নমুনাতেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে।
মুম্বইয়ে করোনার সংক্রমণ লাগামছাড়াভাবে বাড়তে থাকায় ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত শহরের কোনও সমুদ্র সৈকত, খোলা মাঠ, সমুদ্রের ধারে, পার্ক এবং অন্যান্য সমজাতীয় জায়গাগুলিতে আমজনতার যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক এস চৈতন্য জানিয়েছেন, এখন থেকে মুম্বইয়ে বড় কোনও জমায়েতও করা যাবে না। শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়ে গিয়েছে। নতুন এই কড়াকড়ি জারি থাকবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
করোনার আসন্ন ঢেউয়ের আশঙ্কাতে ইতিমধ্যেই প্রতিটি অঞ্চলে নতুন করে কোভিড ওয়ার রুম চালু করেছে। করোনা পরীক্ষা, আক্রান্তদের চিকিৎসা, হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রয়োজন মেটানো হবে এই ওয়ার রুমের মাধ্যমেই।
ওমিক্রন ও করোনা সংক্রমণ বাড়তেই রাজ্যে ফের একবার লকডাউন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তবে যাবতীয় জল্পনায় জল ঠেলে এদিন রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেন, “লকডাউন নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, এই বিষয়ে কোনও আলোচনাও করা হয়নি আপাতত। রাজ্যে আক্রান্ত ও সংক্রমণের হার, হাসপাতালে শয্য়া, মজুত অক্সিজেনের পরিমাণের উপর নির্ভর করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। যদি দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ৭০০ মেট্রিক টন পার করে, তবে রাজ্যে লকডাউন জারি করা হবে।”