জয়পুর: নতুন বছরের সূচনা খুব একটা ভাল হল না রাজস্থানে(Rajasthan), এক ধাক্কায় রাজ্যে অনেকটাই বাড়ল ওমিক্রন (Omicron) সংক্রমণ। রাজস্থানের স্বাস্থ্য় দফতরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাজ্যে নতুন করে ৫২ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই নিয়ে রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা একশোর গণ্ডি পার করল।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (State Health Department) তথ্য অনুযায়ী, এ দিন নতুন করে যে ৫২ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, তাদের মধ্যে ৩৮ জনই জয়পুর(Jaipur)-র বাসিন্দা। এছাড়া প্রতাপগঢ়, সিরোহী ও বিকানির থেকে তিনজন করে এবং যোধপুর থেকে দুইজন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আজমের, ভিলওয়ারা ও শিকর থেকেও একজন করে ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ১২১-এ।
একদিনেই ৫২ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিললেও, সুস্থতার হারে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলছে রাজস্থানে। গতকাল অবধি রাজ্যে যে ৬৯ জন আক্রান্ত ছিল, তাদের মধ্যে ৬১ জনই ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে।
সংক্রমণের ওঠানামার মাঝেই শুক্রবার রাজস্থানের উদয়পুরে ৭৩ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ওমিক্রনে আক্রান্ত ওই রোগী হাইপারটেনশন এবং ডায়াবেটিস সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। ২১ ডিসেম্বর তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হলে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু ১৫ ডিসেম্বর তাঁর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্টে ওমিক্রন ধরা পড়েছিল।
উদয়পুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক দীনেশ খারারি বলেন, “৭৩ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ ১৫ ডিসেম্বর ওমিক্রন পজিটিভ ধরা পড়েন। শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আক্রান্ত হওয়ার পর দুই বার তাঁর করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছিল এবং দুই বারই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তাই এটিকে করোনায় মৃত্যু বলা যায় না। এটি করোনা পরবর্তী মৃত্যু।”
রাজ্যে ক্রমশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় মুখ্য়মন্ত্রী অশোক গেহলট রাজ্যে করোনা টিকা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছেন। ৩১ জানুয়ারি থেকে সর্বজনীন স্থানে আমজনতার প্রবেশের জন্য সম্পূর্ণ টিকা বাধ্যতামূলক করেছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে জারি করা হয়েছে নৈশ কার্ফু। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা অবধি জারি থাকবে কার্ফু। এটিকে জন অনুশাসন কার্ফু বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, কার্ফু চলাকালীন কেবল জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশেষ প্রয়োজনে যদি কেউ বের হন, তবে সেক্ষেত্রে পাস দেখাতে হবে। তবে ২৪ ঘণ্টাই রেস্তরাঁ থেকে খাবার ডেলিভারির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।