Manipur Violence: বাঙ্কার থেকে রকেট হামলা, চলল গুলিও, নতুন করে অশান্ত মণিপুর, মৃত কমপক্ষে ৬

Manipur Violence: শুক্রবার মোরিং শহরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় রকেট হামলায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। কুকি জনগোষ্ঠীর কিছু বিদ্রোহীরা এই হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। এরপর আজ সকালেও ফের নতুন করে অশান্তি ছড়ায়।

Manipur Violence: বাঙ্কার থেকে রকেট হামলা, চলল গুলিও, নতুন করে অশান্ত মণিপুর, মৃত কমপক্ষে ৬
ফের অশান্ত মণিপুর।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Sep 07, 2024 | 6:49 PM

ইম্ফল: আবার রক্তাক্ত মণিপুর। মৃত্যু কমপক্ষ ৬ জনের। আজ, শনিবার সকালে মণিপুরের জিরিবাম জেলায় অশান্তি ছড়ায়। কুকি ও মেতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। ড্রোনে চলছে নজরদারি।

গত বছরের মে মাস থেকেই অশান্ত মণিপুর। মাসের পর মাস ধরে চলা কুকি ও মেতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। গত মাসেই যেখানে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল, সেখানেই সম্প্রতি আবার অশান্তি শুরু হয়েছে।

শুক্রবার মোরিং শহরে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় রকেট হামলায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। কুকি জনগোষ্ঠীর কিছু বিদ্রোহীরা এই হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। এরপর আজ সকালেও ফের নতুন করে অশান্তি ছড়ায়। জিরিবামের নুঙ্গচাপ্পি গ্রামে ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধকে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। অন্যদিকে, কুকি ও মেতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে গুলির লড়াইয়ে কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই গ্রুপগুলি নিজেদের ভিলেজ ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার বলেই পরিচয় দেয়। এমনটাই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

এই খবরটিও পড়ুন

জিরিবামের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। তবে ততক্ষণে গুলির লড়াইয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ আটকায়।

অন্যদিকে, ইম্ফলের ইন্সপেক্টর জেনারেল বলেন, “গতকাল কুকি সন্ত্রাসীরা বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর সীমান্তের কিছু এলাকায় গুলি চালায়। এরপর নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালায়। দুষ্কৃতীদের দুটি বাঙ্কার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপরই মোরিং থেকে কুকি দুষ্কৃতীরা লং রেঞ্জের রকেট ছোড়ে, যার আঘাতে এক প্রবীণ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আহত হন ৬ জন। আজ সকালে কুকি দুষ্কৃতীরা জিরিবামে হামলা চালায়। এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতীরা পালানোর সময়ও গুলি চালাচ্ছিল, গ্রামের কিছু ভলেন্টিয়ার পাল্টা গুলি চালায়। জিরিবাম পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, তাদের উপরও হামলা করে। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও।”

দিন কয়েক আগেই ড্রোনে করে বোমা ও অস্ত্রশস্ত্র ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীও হেলিকপ্টারে নজরদারি চালাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টেও নজরদারি করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জিরিবামেই মেতেই ও হামার নেতারা শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছিল। সেই সময় চূড়াচাঁদপুরের কুকি গোষ্ঠী আপত্তি জানায়।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)