Brinda Grover: বিলকিস বানোকে বিচার পাইয়ে দিয়েছেন, এবার তিলোত্তমার বিচারের ভার তাঁর কাঁধে, কে এই বৃন্দা গ্রোভার?
RG Kar Case: আরজি কর কাণ্ডে তিলোত্তমার পরিবারের হয়ে মামলা লড়ার জন্য এক টাকাও নেবেন না স্বনামধন্য আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি মহিলা ও শিশুদের উপরে হওয়া অত্যাচার, নির্যাতনের বিরুদ্ধেই লড়েছেন। তা তিলোত্তমার পরিবার যখন তাঁকে মামলা লড়ার জন্য অনুরোধ করেন, তা ফেরাতে পারেননি বৃন্দা গ্রোভার।
নয়া দিল্লি: তিলোত্তমা কাণ্ডের এক মাস পার হয়ে গিয়েছে। এখনও সুবিচার অধরা। তিলোত্তমাকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য চাই আরও জোরাল কণ্ঠ। আর তাই জন্যই আইনজীবী বদল। আরজি কর মামলায় ফের আইনজীবী বদল। এবার সুপ্রিম কোর্টে তিলোত্তমার পরিবারের হয়ে মামলা লড়বেন বিশিষ্ট আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার (Brinda Grover)। হঠাৎ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে সরিয়ে বৃন্দা গ্রোভারকে কেন বেছে নিলেন তিলোত্তমার পরিবার?
আরজি কর কাণ্ডে তিলোত্তমার পরিবারের হয়ে মামলা লড়ার জন্য এক টাকাও নেবেন না স্বনামধন্য আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি মহিলা ও শিশুদের উপরে হওয়া অত্যাচার, নির্যাতনের বিরুদ্ধেই লড়েছেন। তা তিলোত্তমার পরিবার যখন তাঁকে মামলা লড়ার জন্য অনুরোধ করেন, তা ফেরাতে পারেননি বৃন্দা গ্রোভার।
বৃন্দা গ্রোভারের পরিচয়-
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টেফেনস কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রি লাভের পর নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন বৃন্দা গ্রোভার। দেশে ফিরে এসে, ১৯৮৯ সাল থেকে ট্রায়াল কোর্টে প্রাকটিস শুরু করেন। সেখান থেকেই হাইকোর্ট ও পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসাবে উত্থান।
দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি একাধিক মানবাধিকার ও মহিলা-শিশুদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতনের মামলায় লড়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৮৭ সালের হাসিমপুরা পুলিশ হত্যা মামলা থেকে শুরু করে ২০০৪ সালের ইসরাত জাহান মামলা, ২০০৮ সালে কান্দামালে খ্রিস্টান বিরোধী দাঙ্গা মামলা।
পাশাপাশি আইন তৈরি ও সংশোধনেও তাঁর ভূমিকা রয়েছে। ২০১২ সালে শিশুদের যৌন হেনস্থা থেকে সুরক্ষা, ২০১০ সালে নির্যাতন প্রতিরোধ বিলের সংশোধনীর খসড়া তৈরিরও অংশ ছিলেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। বিভিন্ন সময়ে পুলিশ ও বিচার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের প্রশিক্ষণের জন্যও বৃন্দা গ্রোভারকে ডাকা হয়। ২০১৩ সালে টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকাতেও ঠাঁই হয়েছিল বৃন্দা গ্রোভারের।
শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও খ্যাতিসম্পন্ন বৃন্দা গ্রোভার। ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলেও ইউক্রেনের তদন্তের জন্য স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশনের সদস্য হিসাবে বৃন্দা গ্রোভারকে নিয়োগ করা হয়।
বৃন্দা গ্রোভারের ল়ড়া উল্লেখযোগ্য মামলা-
বিলকিস বানো মামলা লড়েছেন বৃন্দা গ্রোভার। বিলকিস বানো মামলায় ১১ জন ধর্ষকের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান বিলকিস বানো। তাঁর হয়ে মামলা লড়েন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। সুপ্রিম কোর্টে বৃন্দা গ্রোভার বলেছিলেন গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি।
যৌন নির্যাতন, বিচারবিভাগীয় হেফাজতে মৃত্যু, ধর্মীয় সংঘর্ষ, গণপিটুনির মতো বিভিন্ন মামলায় লড়েছেন তিনি। সেনা বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা, টু ফিঙ্গার টেস্ট সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছেন তিনি।
ভারতে ধর্ষণ আইন লিঙ্গ নিরপেক্ষ হওয়া নিয়ে বিরোধিতা করেছেন বৃন্দা গ্রোভার। তাঁর বক্তব্য ছিল, পুরুষদের ধর্ষণ হয় না। মহিলাদের হাতে পুরুষের ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে না। বরং উল্টোটাই ঘটে।