Shocking Incident: স্বজন হারানো পরিবারের থেকে চাই ১০ কেজি খাসির মাংসের ভোজ, ২ দিন ধরে আটকে শেষকৃত্য!

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Mar 19, 2024 | 6:12 PM

Last Rite Rituals: এলাকায় একটি রেওয়াজ রয়েছে। পাড়ায় কারও বিয়ে হলে, কিংবা কারও মৃত্যু হলে... সেই পরিবারকে পাড়ায় গণভোজের আয়োজন করতে হয়। যেহেতু বৃদ্ধার সন্তান পাড়ার লোকজনের দাবি মতো খাসির মাংসের ভোজ দিতে পারছিলেন না, তাই কেউ বৃদ্ধার শেষ যাত্রাতেও যেতে রাজি ছিলেন না। ভাবুন কাণ্ড।

Shocking Incident: স্বজন হারানো পরিবারের থেকে চাই ১০ কেজি খাসির মাংসের ভোজ, ২ দিন ধরে আটকে শেষকৃত্য!
ওড়িশার সেই গ্রামের ছবি
Image Credit source: TV9 Network

Follow Us

শিবাশিস দাস

ময়ূরভঞ্জ: ডিজে বাজিয়ে, নাচতে নাচতে শেষকৃত্য… এসব তো দেখেছেন অনেক। কিন্তু এমন ঘটনা হয়ত এই প্রথম শুনছেন। মৃত্যুর পর দু’দিন ধরে বাড়িতেই পড়ে থাকল দেহ। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জে। কেন? কারণ, মৃত বৃদ্ধার সন্তান পাড়ায় ১০ কেজি খাসির মাংসের ভোজ দিতে পারছিলেন না। ওই এলাকায় একটি রেওয়াজ রয়েছে। পাড়ায় কারও বিয়ে হলে, কিংবা কারও মৃত্যু হলে… সেই পরিবারকে পাড়ায় গণভোজের আয়োজন করতে হয়। যেহেতু বৃদ্ধার সন্তান পাড়ার লোকজনের দাবি মতো খাসির মাংসের ভোজ দিতে পারছিলেন না, তাই কেউ বৃদ্ধার শেষ যাত্রাতেও যেতে রাজি ছিলেন না। ভাবুন কাণ্ড।

ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার তেলাবিলা গ্রামে থাকতেন বছর সত্তরের সোমবারি সিং। তাঁর মৃত্যুর পর পাড়া প্রতিবেশীরা ১০ কেজি মাংসের ভোজ চেয়েছিল পরিবারের কাছে। কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল বৃদ্ধার ছেলে সেই আয়োজন করতে পারছিলেন না। গ্রামবাসীদেরও মেজাজ বিগড়ে ছিল একটু। কারণ, এর আগে দু-দুটো বিয়ে হয়ে গিয়েছে পাড়ায়, কিন্তু তাঁরা কোনও গণ ভোজ পাননি। তারপর থেকে নতুন করে কোনও ভোজের কারণও তৈরি হচ্ছিল না। এতদিন পর বৃদ্ধার মৃত্যুতে পাড়ার সবার মনে যেন একটু পুলকই জাগে। এতদিন পর একটা কিছু তো কারণ মিলল ভোজের। তাই আশা করে, ১০ কেজি খাসির মাংস চেয়ে বসেছিলেন মৃতার সন্তানের কাছে। কিন্তু বৃদ্ধার ছেলের যা আর্থিক অবস্থা, তাতে এতজন মানুষকে ভোজ দেওয়া, তাও আবার ১০ কেজি খাসির মাংসের… একটু বাড়াবাড়িই হয়ে যাচ্ছিল।

তাই খাসির মাংসের ভোজে রাজিও হচ্ছিলেন না বৃদ্ধার ছেলে। এদিকে গ্রামবাসীরাও নাছোড়বান্দা। ভোজ তো লাগবেই। তাও ১০ কেজি খাসির মাংসের। তর্কাতর্কি, দর কষাকষিতে কোনও লাভ হয় না। শেষে গ্রামবাসীরাও জানিয়ে দেয়, খাসির মাংসের ভোজ না দেওয়া হলে বৃদ্ধার শেষকৃত্যে কেউ যাবেন না। আর সেই কারণেই দু’দিন ধরে থমকে ছিল বৃদ্ধার শেষকৃত্য। অবশেষে কোনও উপায় না পেয়ে দু’দিন পর গ্রামবাসীদের দাবিতে রাজি হয়ে যান বৃদ্ধার ছেলে। দাবি মতো ১০ কেজি খাসির মাংসের ভোজ দিতে রাজি হন। এতদিনের ভোজ খাওয়ার ইচ্ছা পূরণ হওয়ার রাস্তা খুলে যেতেই গ্রামবাসীরাও রাজি হয়ে যান বৃদ্ধার শেষকৃত্যে অংশ নিতে। তবে গ্রামবাসীদের দাবি-দাওয়া মেনে নিলেও, বেজায় বিরক্ত বাড়ির বড় ছেলে। একে তো পরিবারের আর্থিক সঙ্কট, তার মধ্যে স্বজন হারানোর এই শোকের মধ্যেও গ্রামবাসীদের আজব আবদার। এসব মোটেই পছন্দ নয় তাঁর।

Next Article