নয়া দিল্লি : বিগত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসলেন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারা। রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের বাড়িতেই বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের ‘জি ২৩’ গোষ্ঠীর নেতারা। পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর থেকেই বিক্ষুব্ধরা নেতৃত্বে বদল আনার কথা বলছিলেন। এই আবহে আজকে বিক্ষুব্ধ নেতাদের অন্যতম ভূপিন্দর সিং হুডা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপরই তিনি গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে ফিরে যান। সেখানে পরে বাকি বিক্ষুব্ধরাও আসেন বৈঠকে যোগ দিতে।
জানা গিয়েছে এদিন গুলাম নবি আজাদের বাড়িতে ভূপিন্দর হুডার পাশাপাশি ছিলেন আনন্দ শর্মা, কপিল সিব্বলরাও। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পরই কপিল সিব্বল সোজাসুজি গান্ধীদের পদ ছাড়তে বলে ‘সবকি কংগ্রেস’ এর ডাক দিয়েছিলেন। এর জেরে মল্লিকার্জুন খাড়গে, অশোক গেহলটদের মতো বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এই আবহে গতকালই জি ২৩ গোষ্ঠীর কংগ্রেস নেতারা প্রথমবার বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠক শেষে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে কংগ্রেসের নেতৃত্বের ধরনের বদল আনার ডাক দেন। ১৮ জন কংগ্রেস নেতার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্ব’-এর বার্তা দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে মাত্র তিনজন রয়েছেন ওয়ার্কিং কমিটিতে। কমিটিতে বাকি সবাই গান্ধী ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।
এই আবহে পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধী পাঁচ রাজ্যের সভাপতিকে পদত্যাগ করতে বলেন। তবে কংগ্রেসের শীর্ষে বহাল থেকে গিয়েছেন গান্ধীরা। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সনিয়া গান্ধী নাকি ওয়ার্কিং কমিটিতে বলেছেন যে তিনি, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পদত্যাগ করতে রাজি। তবে ওয়ার্কিং কমিটি তাঁদের পদত্যাগ করতে বারণ করে। এই আবহে বিক্ষুব্ধদের প্রশ্ন, গান্ধী পরিবারে ঠাসা ওয়ার্কিং কমিটি। এই পরিস্থিতিতে গান্ধীরা কার্যত নিজেদের স্থান পাকা করে রেখেছেন দলে। তবে দল এদিকে ভরাডুবির পর ভরাডুবির মুখে পড়ছে।
কপিল সিব্বল তো সরাসরি বলেছিলেন, রাহুল গান্ধী দলের সভাপতি না হয়েও দলের সব সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো থেকে শুরু করে নভজ্যোত সিং সিধুকে রাজ্য সভাপতি করার নেপথ্যে ছিলেন গান্ধীরা। পরবর্তীতে চন্নিকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। দলের পদে না থেকে দলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেই রাহুল। আর তাঁর সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে কংগ্রেসের খোলস বদলের দাবিতে ফের একবার সরব হয়েছেন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারা।
আরও পড়ুন : Zelensky Tea : ইউক্রেন নয় ভারতে মিলবে এবার জ়েলেনস্কি চা! কেনার আগে জেনে নিন