নয়া দিল্লি: সপ্তাহান্তেই নয়া দিল্লিতে বসতে চলছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন (G-20 Summit)। সেই উপলক্ষ্যে শেষ মুহূর্তের জোরদার প্রস্তুতি চলছে রাজধানীতে (Delhi)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাশিয়া ও চিন বাদে জি-২০-ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানেরা উপস্থিত থাকবেন দিল্লিতে। তাঁদের আপ্যায়ণের জন্য এলাহি বন্দোবস্তের আয়োজন করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কোনও কিছুতে যাতে খামতি না থাকে, সে বিষয়ে তৎপর মোদী সরকার। তাই এবার বিদেশি অতিথিদের খাবারেও জারি করা হল বিশেষ প্রোটোকল। অতিথিদের খাবার রান্না করার আগে সেই খাবারের উপকরণ প্রথমে যাবে ল্যাবরেটরিতে (Laboratory)। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলেই সেই খাবার রান্না হবে এবং বিদেশি অতিথিদের পাতে পড়বে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই বন্দোবস্ত করেছে মোদী সরকার (Narendra Modi Government)।
মূলত, বিদেশি অতিথিদের অন্যান্য নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য সুরক্ষা দিতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার। তাই পাঁচতারা হোটেলের খাবারও ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। রান্না করার ৩৬ ঘণ্টা আগে কাঁচা সবজি ও খাবারের নমুনা হোটেলের রান্নঘর থেকে সরাসরি নয়া দিল্লির ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। এই কাজের জন্য পুলিশস এফএসও ও এসপিজি-র একটি দল সর্বক্ষণ হোটেলে থাকবে। খাবারের নমুনা পরীক্ষা করে ৪ ঘণ্টার মধ্যেই রিপোর্ট হোটেলে পৌঁছে দেবে ল্যাব। গোটা বিষয়টি তদারকি করবে খাদ্য সুরক্ষা দফতর। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা না করে কোনও খাবার অতিথিদের পরিবেশন করা যাবে না বলে হোটেলগুলিকে কড়া নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। এমনকি ব্র্যান্ডেড এবং প্যাকেজিং খাবার হলেও ল্যাবে পরীক্ষা না করে রান্নাঘরে ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
খাবারের অতিরিক্ত সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি অতিথিদের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখারও ব্যবস্থা থাকবে হোটেলে। অতিথিদের কোনও শারীরিক সমস্যা হলে তার প্রতিকারের জন্য প্রতিটি হোটেলে ২৪ ঘণ্টা ডাক্তার ও নার্সদের একটি দল থাকবে। এছাড়া রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকার বড় ৫টি হাসপাতালে জি-২০-র অতিথিদের জন্য অতিরিক্ত বেড, আইসিইউয়ের ব্যবস্থা রাখা থাকছে। যদি কোনও অতিথি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাঁর যাতে চিকিৎসায় কোনও ত্রুটি না হয়, তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এমনকি লাইফ সাপোর্ট দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সও থাকবে অতিথিদের কনভয়ের সঙ্গে। সবমিলিয়ে, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আগত বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়ণের পাশাপাশি তাঁদের শাররিক সুস্থতার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।