বালি: মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার বালিতেও উঠল ‘মোদী মোদী’ স্লোগান। এদিন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের কর্মসূচির সমান্তরালে, সেই দেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তাঁকে মঞ্চে স্বাগত জানানো হল ‘মোদী মোদী’ স্লোগানে। ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের উদ্দেশে মোদী বলেন, শুধু সুসময়ে নয়, দুঃসময়েও পরস্পরের বন্ধু হয়েছে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। ২০১৮ সালের ভূমিকম্পের প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, চ্যালেঞ্জিং সময়ে ভারত দৃঢ়ভাবে ইন্দোনেশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার পারস্পরিক সম্বৃদ্ধ ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, তিনি যখন বালিতে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন, সেই একই সময়ে ১৫০০ কিমি দূরে ভারতের কটকে ‘বালিযাত্রা উৎসব’ হচ্ছে। এই উৎসব ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার হাজার হাজার বছরের পুরোনো বাণিজ্য সম্পর্ককে উদযাপন করে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi greets the gathering at the Indian community event in Bali, Indonesia, as people chant “Modi, Modi”.
(Source: DD) pic.twitter.com/3NWUMI9KfF
— ANI (@ANI) November 15, 2022
শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি থেকে ফিল্ম শিল্প – ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা সেই দেশের উন্নয়নে বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাহাড়-পর্বত-নদীর কথা উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদী জানান, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের মাধ্যমে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া মধ্যে একতা রয়েছে। তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালের ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পের পর অবিলম্বে ভারত সমুদ্র মৈত্রী অভিযান শুরু করেছিল। মোদী বলেন, “সেই বছর আমি যখন জাকার্তায় এসেছিলাম, আমি বলেছিলাম ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া ৯০ নটিকাল মাইল দূরে অবস্থিত। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমরা ৯০ নটিকাল মাইল দূরে নেই, ৯০ নটিকাল মাইল কাছে আছি।”
তাঁর ভাষণে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত ইন্দোনেশিয় সমাজ কর্মী আগুস ইন্দ্র উদয়নের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আজীবন মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ প্রচারের কাজ করেছেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার রামায়ণ ঐতিহ্যের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রবাসীদের সামনে ভারতের সাম্প্রতিক উন্নয়নও তুলে ধরেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি দাবি করেন, “ভারতের প্রতিভা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, শিল্প আজ গোটা বিশ্বে ছাপ ফেলছে। আজ, ভারত অভূতপূর্ব গতিতে এগিয়ে চলেছে। একবিংশ শতাব্দীতে গোটা বিশ্বের জন্য ভারতই হল আশার রেখা। কোভিড মহামারির সময়ে ওষুধ এবং ভ্যাকসিনে ক্ষেত্রে ভারতের স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিল। এটা গোটা বিশ্বের উপকার করেছে।”