ISRO: সাফল্যের পথেই এগোচ্ছে গগনযান, নয়া লঞ্চিং প্যাড তৈরির কাজে হাত লাগাচ্ছে ইসরো
ISRO: পাঁচই সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে লাফ দিয়েছিল ল্যান্ডার বিক্রম। সেই লাফ থেকে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ-সহ যাবতীয় দরকারি তথ্য পেয়ে গেছে ইসরো। সেসব খতিয়ে দেখেই এখন চাঁদে গিয়ে ফেরার কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। গগনযানে পৃথিবীর কক্ষপথে গিয়ে আবার ফিরে আসবেন ভারতীয় নভশ্চরেরা। শোনা যাচ্ছে এমনটাই।

কলকাতা: চন্দ্রযান-২ সফলতার মুখ না দেখলেও, হাসি ফুটেছে চন্দ্রযান-৩ এর মুখে। সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ড করে গোটা দেশের মুখ উজ্জ্বল করে ফেলে। প্রাথমিক কাজ শেষ করে এখন ঘুমের দেশে বিক্রম-প্রজ্ঞান। ওরা আবার ঘুম থেকে উঠবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বিক্রম ও প্রজ্ঞান ওদের অ্যাসাইনমেন্ট কমপ্লিট করে ফেলেছে। যা তথ্য পাঠিয়েছে তা দিয়ে আগামী এক দশক গবেষণা চলবে। চন্দ্রযান ওয়ানের থেকে পাওয়া তথ্য নিয়েই তো এখনও কাজ হচ্ছে। তবে, বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে চাঁদ থেকে ফিরিয়ে আনা হবে না। ইসরোর কথায় কাজ শেষ হলে ওরা চিরকালের মতো ভারতের রাষ্ট্রদূত হয়ে চাঁদে রয়ে যাবে। কিন্তু আগামীদিনে চাঁদ থেকে স্যাম্পল নিয়ে পৃথিবীতে মহাকাশযান ফেরানোর কথা ভাবছে ইসরো।
পাঁচই সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে লাফ দিয়েছিল ল্যান্ডার বিক্রম। সেই লাফ থেকে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ-সহ যাবতীয় দরকারি তথ্য পেয়ে গেছে ইসরো। সেসব খতিয়ে দেখেই এখন চাঁদে গিয়ে ফেরার কথা ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। গগনযানে পৃথিবীর কক্ষপথে গিয়ে আবার ফিরে আসবেন ভারতীয় নভশ্চরেরা। সেইমতো কাজ চলছে। তবে চাঁদে গিয়ে আবার ফিরে এলে সেটা আরেকটা বড় ব্যাপার হবে।
মিশন গগনযানও সাফল্যের পথেই এগোচ্ছে। গগনযানের জন্য তৈরি বিশেষ ইঞ্জিনের পরীক্ষা সফল হয়েছে বলেই ইসরো জানিয়েছে। রকেট উত্ক্ষেপণের পরে আপার ক্রায়োজনিক স্টেজের জন্য তৈরি বিশেষ CE20 ইঞ্জিন সফলভাবে কাজ করছে। জরুরি পে লোডও বাড়ানো যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে ইসরোর ব্যস্ততা এখন অনেক বেড়ে গেছে। আর সেজন্য শ্রীহরিকোটার পর আরও একটা লঞ্চিং প্যাড তৈরির কাজেও হাত দিচ্ছে তারা। তাতেই উন্মদনা তুঙ্গে মহাকাশবিজ্ঞানীদের মধ্যে।
