নয়া দিল্লি: সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে যদি কোনও পাকিস্তানি, বাংলাদেশি বা চিনা কিংবা মায়ানমারের ব্যক্তি ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে, তাহলে এবার তাকে খেতে হবে ত্রিশুলের খোঁচা। বর্ডার পেট্রোল সার্ভেইল্যান্স অর্থাৎ, সীমান্ত এলাকায় নজরদারির জন্য বিশেষ ড্রোন চালু করল ভারতের শীর্ষস্থানীয় ড্রোন-টেক সংস্থা, গরুর অ্যারোস্পেস (Garuda Aerospace)। ত্রিশুল ড্রোন, গরুর অ্যারোস্পেসের ফ্ল্যাগশিপ ড্রোন। সীমান্ত এলাকা দিয়ে কারা চলাচল করছে, তাদের উপর নজর রাখা, সেই তথ্য বিশ্লেষণ করার কাজে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করবে এই ড্রোন। গরুর সংস্থা জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপর্যয় এবং বিভিন্ন জরুরী অবস্থাতেও ত্রিশুল ড্রোনকে কাজে লাগানো যেতে পারে। ট্র্যাফিক পরিস্থিতি মূল্যায়নেও এই ড্রোন ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, এই ড্রোন সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনিই এই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।
ত্রিশুল ড্রোন রিয়েল-টাইম ছবি পাঠাতে পারে। এর ক্যামেরার অ্যাঙ্গেলও যথেষ্ট ওয়াইড। ফলে নীচে কী ঘটছে, বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তার উপর নজর রাখা যায়। ফলে, নজরদারির কাজে থাকা কর্মীরা অবিলম্বে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। দূরে বসে, ত্রিশুল ড্রোনের মাধ্যমে বিস্তৃত এলাকার উপর নজর রাখা যাবে। এর জন্য হাই-ডেফিনিশন ক্যামেরা, ইনফ্রারেড ক্যামেরা, লাইডার (LIDAR) এবং রাডারের মতো বিভিন্ন ধরনের সেন্সর রয়েছে এই ড্রোনে। ফলে, নিরাপত্তার হুমকি থেকে শুরু করে ভিড় সামলান, অন্যান্য ব্যাঘাত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে পারে।
গরুড় অ্যারোস্পেসের প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও, অগ্নিশ্বর জয়প্রকাশ বলেছেন, “গত কয়েক বছরে ড্রোন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে গরুড় অ্যারোস্পেস। আমরা আমাদের ড্রোনের বহর যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি করেছি। আজ, ত্রিশুল ড্রোন চালু করলাম আমরা। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, টেকসই ড্রোন ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ত্রিশুল রিয়েল-টাইম তথ্য ও ছবি পাঠাবে, এর ফলে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আমরা ত্রিশুল চালু নিয়ে উত্তেজিত, এই ধরনের আরও পণ্য প্রবর্তনের জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে আছি।”
প্রসঙ্গত, এই নজরদারি ড্রোনের পাশাপাশি, কিষাণ ড্রোন, সোলার প্যানেল যুক্ত ক্লিনিং ড্রোন, বীজ বপনের ড্রোনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের ড্রোন তৈরি করেছে।