মরতে মরতে বেঁচেছিলেন আদানি! ২৬/১১-র দিন কীভাবে রেহাই পেলেন কাসবদের হাত থেকে?

Gautam Adani: সাক্ষাৎ মৃত্য়ু দর্শনের ওই অভিজ্ঞতা ভাগ করে গৌতম আদানি বলেন, "তাজ হোটেলের মশলা ক্রাব রেস্তোরাঁয় ডিনার করছিলাম। দুবাই থেকে আমার বন্ধু এসেছিল। রাত ১০টা নাগাদ হামলা হয়। তার ৫ মিনিট আগেই আমি বিল মিটিয়ে লবিতে বেরিয়ে এসেছিলাম।"

মরতে মরতে বেঁচেছিলেন আদানি! ২৬/১১-র দিন কীভাবে রেহাই পেলেন কাসবদের হাত থেকে?
মুম্বই হামলার দিন তাজ হোটেলেই ছিলেন গৌতম আদানি।Image Credit source: GFX- TV9 বাংলা
Follow Us:
| Updated on: Nov 29, 2024 | 1:43 PM

নয়া দিল্লি: দেশের অন্যতম বড় শিল্পপতি হিসাবে পরিচিত তিনি। বিশ্বের ধনীদের তালিকাতেও তাঁর নাম থাকে প্রথম সারিতেই। তিনি আর কেউ নন, গৌতম আদানি। তাঁর সংস্থা, বাণিজ্যিক কারবার সম্পর্কে কম-বেশি সকলেই জানলেও, ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। দেশের অন্যতম বড় শিল্পপতি হলেও, দু-দু’বার মৃত্যুমুখ থেকে ফিরেছিলেন গৌতম আদানি, জানেন কি?

১৯৯৮ সালে দুষ্কৃতীদের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন গৌতম আাদানি ও তাঁর সহযোগী শান্তিলাল পটেল। ২ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল। যদিও পরের দিনই মুক্তি পান গৌতম আদানি। সেই রাতে বাড়ি ফিরে শান্তিতেই ঘুমিয়েছিলেন আদানি। তবে মৃত্যুভয় পেয়েছিলেন ২৬/১১ মুম্বই হামলার সময়।

অনেকেই জানেন না যে ২৬/১১ মুম্বই হামলার সময় তাজ হোটেলেই উপস্থিত ছিলেন গৌতম আদানি। সম্প্রতিই একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, “ওই দিন আমি তাজ হোটেলেই ছিলাম। জঙ্গিরা যখন প্রথম গুলি চালিয়েছিল, তখনও আমি সামনে থেকে দেখেছিলাম।”

সাক্ষাৎ মৃত্য়ু দর্শনের ওই অভিজ্ঞতা ভাগ করে গৌতম আদানি বলেন, “তাজ হোটেলের মশলা ক্রাব রেস্তোরাঁয় ডিনার করছিলাম। দুবাই থেকে আমার বন্ধু এসেছিল। রাত ১০টা নাগাদ হামলা হয়। তার ৫ মিনিট আগেই আমি বিল মিটিয়ে লবিতে বেরিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু আমার বন্ধু আরও কথা বলতে চেয়েছিল, তাই আমরা আবার রেস্তোরাঁয় কফি খেতে বসি।”

গৌতম আদানি বলেন, “আমি ভাবি যে সেদিন যদি লবিতে থাকতাম, তাহলে হয়তো জঙ্গিদের মুখোমুখিই হতাম। তাজ গ্রুপের কর্মীরা যেভাবে কাজ করেছিলেন, তা প্রশংসনীয়। এমন ডেডিকেশন কোনও সংস্থায় দেখা যায় না।”

কীভাবে বেঁচেছিলেন সেদিন? আদানি বলেন, “সেদিন সারা রাত তাজ হোটেলেই আটকে ছিলাম। তাজ হোটেলের কর্মীরা কিচেনের রাস্তা দিয়ে আমায় উপরে চেম্বারে নিয়ে গিয়েছিল। সকাল ৭টা নাগাদ কম্যান্ডোরা আসে। বাকিদের সঙ্গে আমায়ও কম্যান্ডোরা উদ্ধার করে। সেইদিনটা ভুলব না।”