বরেলি: যৌনতার ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় বা সেক্সটরশনের ঘটনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই এই চক্র সক্রিয়। গত কয়েক মাসে উত্তর প্রদেশেও এ সংক্রান্ত একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সেই তদন্তে নেমে উত্তর প্রদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা রীতিমতো নাকানিচোবানি খাচ্ছেন। চিকিৎসক, আইনজীবী, আমলাদেরও নিজেদের শিকার বানাচ্ছেন প্রতারকরা। গত এক বছরে এ রকম ১০৫টি অভিযোগ উত্তর প্রদেশে দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি সে রাজ্যে এই প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন এক চিকিৎসক।
উত্তর প্রদেশের বরেলি জেলায় এক আয়ুর্বেদ চিকিৎসককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন এক যুবতী। ওই চিকিৎসককে এক যুবতী ফোন করেছিলেন এবং নিজেকে বিএসসি নার্সিংয়ের ছাত্রী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। প্রথমে ওই চিকিৎসক খুব একটা পাত্তা না দিলেও নাছোড়বান্দা ওই যুবতী চিকিৎসকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। এ ভাবেই মাঝেমধ্যেই চলছিল ওই যুবতীর সঙ্গে চিকিৎসকের কথোপকথন।
এর পর এক দিন ওই যুবতী চিকিৎসককে ফোন করে বলেন, তাঁর মা অসুস্থ। চিকিৎসককে বাড়িতে ডাকেন ওই যুবতী। চিকিৎসক গিয়েছিলেন। বাড়িতে তখন স্বল্পবসনা অবস্থায় ছিলেন যুবতী। এবং চিকিৎসককে প্রলুব্ধ করেন বলে অভিযোগ। সেই সুযোগে দরজা বন্ধ করে চিকিৎসকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন যুবতী। সে সয়ই দুই ব্যক্তি দরজা খুলে ঢুকে পড়েছিলেন এবং যুবতীর সঙ্গে চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছবি-ভিডিয়ো তোলেন। তার পর থেকেই চিকিৎসককে ব্ল্যাকমেল করা শুরু হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনা নিয়ে বরেলি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু তাতেও ব্ল্যাকমেল করা বন্ধ হয়নি। এমনকি ওই সব ছবি-ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করারও হুমকি দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন ওই চিকিৎসক। সেই মৃত্যুর তদন্তে নেমে গোটা ঘটনা জানতে পারে পুলিশ। এবং ওই প্রতারণা চক্র ফাঁস করেন। অভিযুক্ত যুবতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ জানতে পেরেছে, এই চক্র পরিচালনা করেন এক মহিলা। চক্রের অধিকাংশই মহিলা। যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে তাঁরা হেনস্থা করেছেন বলেও জানিয়েছেন পুলিশি জেরায়।