Sikkim disaster: ভয়াল তিস্তার গহ্বরে চলে গিয়েছে ১২০০ মেগা ওয়াটের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, হাড়হিম অভিজ্ঞতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Oct 05, 2023 | 6:01 PM

Teesta river: বর্তমানে তিস্তা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পূর্ব সিকিমের খান্তিয়ার জেলায় ১৯৮.৪ মিটার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। আবার পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তা ৮৫.৯৫ মিটার উপর দিয়ে বইছে, যা 'বিপজ্জনক' হিসাবে রেকর্ড করেছে।

Sikkim disaster: ভয়াল তিস্তার গহ্বরে চলে গিয়েছে ১২০০ মেগা ওয়াটের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, হাড়হিম অভিজ্ঞতা
সিকিমে ভেঙে পড়েছে নদীবাঁধ।
Image Credit source: ANI

Follow Us

গ্যাংটক: সিকিমের চুংথাংয়ে অবস্থিত ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং রাজ্যের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হল, তিস্তা উরজা (Teesta Urja)। মঙ্গলবার গভীর রাতে তিস্তার গ্রাসে ভেসে গিয়েছে ১২০০ মেগাওয়াটের এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটিও (Hydro Project)। কেবল এটি পুনরায় নির্মাণ করতে প্রায় হাজার কোটি খরচ হবে।

বীভৎসতার বর্ণনা দিয়ে সিকিম উরজা লিমিটেডের অধিকর্তা সুনীল সারাওগি বলেন, “মঙ্গলবার রাত তখন ১১টা ৫৮ মিনিট। ITBP থেকে হড়পা বানের খবর পেলাম। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিমের সদস্য বাঁধের গেট খুলতে যান। কিন্তু, গেট খোলার আগেই তাঁদের ধাক্কা দেয় হড়পা বান। দলে ১২-১৩ জন সদস্য ছিলেন। তাঁরা কোনওরকমে দৌড়ে বাঁধের অপরপ্রান্তে গিয়ে প্রাণ বাঁচান। তারপর বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ ITBP তাঁদের উদ্ধার করে।” ওই বাঁধ এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সংযোগকারী ২০০ মিটার লম্বা সেতটুটিও ভেসে যায় বলে জানিয়েছেন সারাওগি। তিনি বলেন, “সমগ্র জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি জলের তলায় চলে যায়। শীঘ্রই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে।” তবে প্রকল্পটি পুনরায় চালু করতে হাজার কোটি টাকা লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন সিকিম উরজা লিমিটেডের অধিকর্তা। জলের এতটাই স্রোত ছিল যে, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের দিকে বাঁধের দেওয়ালটি সম্পূর্ণ ধসে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, তিস্তা উরজা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হয় এবং ২০২২ সালেই লাভের মুখ দেখেছিল। এর মধ্যেই বড় বিপর্যয় ঘটল।

সিকিম বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা সূত্রে খবর, চুংথাং বাধের দেওয়াল ভেঙে পড়ে এবং তার ফলে নিম্নবর্তী এলাকার ১৫-২০ ফুট পর্যন্ত জলের তলায় চলে যায়। এছাড়া বাংলা-সিকিম সীমান্ত সংলগ্ন মেল্লিতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভেসে গিয়েছে। সিকিমের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। গ্যাংটক, প্যাকিওং, মানগান, নামচি, সোরেং জেলার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলিগুড়ির কাছেও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে বলে সিকিম পুলিশ সূত্রে খবর।

বর্তমানে তিস্তা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পূর্ব সিকিমের খান্তিয়ার জেলায় ১৯৮.৪ মিটার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল। আবার পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তা ৮৫.৯৫ মিটার উপর দিয়ে বইছে, যা ‘বিপজ্জনক’ হিসাবে রেকর্ড করেছে।

Next Article