‘রাতভর সমুদ্র সৈকতে থাকলে…’, ২ নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্কে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 29, 2021 | 1:01 PM

ধর্ষণের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশের বদলে অভিভাবকদেরই দোষারোপ করায় বিরোধীদের চরম আক্রমণের মুখে পড়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী।

রাতভর সমুদ্র সৈকতে থাকলে..., ২ নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্কে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র।

Follow Us

গোয়া: সমুদ্র সৈকতে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও দুই নাবালককে মারধরের ঘটনায় সংসদে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়লেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। বুধবার তিনি সংসদে দাঁড়িয়েই বলেন, “১৪ বছর বয়সীরা রাত অবধি সমু্দ্র সৈকতে থাকলে অভিভাবকদের হস্তক্ষেপ করা উচিত। ওরা কথা শোনে না বলে সরকারের উপর দোষ দেওয়া যায় না।”

ধর্ষণের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশের বদলে অভিভাবকদেরই দোষারোপ করায় বিরোধীদের চরম আক্রমণের মুখে পড়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতিই পানাজির বেনাউলিম সৈকতে চার কিশোর-কিশোরী নির্যাতনের শিকার হয়। চার ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিতে গভীর রাতেও সমুদ্রের পাড়ে বসে থাকার জন্য দুই কিশোরকে মারধর করে ও তারপর দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ঘটনায় চার অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হলেও বুধবার অধিবেশন  চলাকালীন এক সাংসদ অভিযোগ করেন, এক প্রভাবশালী ব্যক্তি অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত বলেন, “যখন ১৪ বছরের সন্তান সারারাত সমুদ্র সৈকতে কাটাচ্ছে, সে সময় অভিভাবকদের হস্তক্ষেপ করা উচিত। সন্তানরা যেহেতু কথা শোনে না, তার জন্য সরকার ও পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপানো যায় না। আমরা পুলিশকে দোষারোপ করি, কিন্তু  এটাও ভাবা উচিত যে ১০ জন সমুদ্র সৈকতে পার্টি করতে গেল, তাদের মধ্যে ৪ জন সারারাত সেখানেই থেকে গেল, বিশেষ করে তারা যখন নাবালক। এই বয়সীদের একা একা সমুদ্র সৈকতে রাত কাটাতে দেওয়া উচিত নয়।”

মুখ্য়মন্ত্রীর এই মন্তব্য শোনার পরই সমালোচনায় সরব হয় বিরোধীরা। তারা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি করেন। গোয়া কংগ্রেসের মুখপাত্র অ্যালটোনি ডি’কোস্টা বলেন, “রাতে বেরতে আমরা ভয় পাব কেন? অপরাধীদের জেলে থাকা উচিত যাতে সাধারণ মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে।” কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালাও টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেন।

গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির প্রধান বিজয় সরদেশাই বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত খারাপ মন্তব্য করেছেন। নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া সরকার ও পুলিশের কর্তব্য। যদি তা দেওয়া সম্ভব না হয়, তবে মুখ্যমন্ত্রীর ওই পদে বসার কোনও অধিকার নেই।” আরও পড়ুন: দুই-তৃতীয়াংশের শরীরে করোনার আ্যান্টিবডি, কোন রাজ্যে কত? 

Next Article