পানাজি: কংগ্রেসের জন্য সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না। বুধবার গোয়ার ১১ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ৮ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত ও বিরোধী দলনেতা মাইকেল লোবোর নেতৃত্বে ৬ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপিতে যোগদানের কারণ কী প্রশ্নের জবাবে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন প্রবীণ বিধায়ক কামাত। তিনি জানিয়েছেন, ভগবানের থেকে অনুমতি নিয়েই তিনি ও অন্যান্য কংগ্রেস বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
কয়েকমাস আগেই বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাহুল গান্ধীর উপস্থিতি এই কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের পর তাঁরা দলবদল করবেন না। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি ভগবানে বিশ্বাসী এবং একথা সত্য যে ভোটের আগে দল না ছাড়ার শপথ নিয়েছিলেন তিনি। “আমি মন্দিরে গিয়েছিলাম এবং ভগবানকে জিজ্ঞেস করেছি যে কী করা উচিত। ভগবান আমাকে বলেছেন যা তোমরা জন্য ভাল তুমি সেটাই কর।”
ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে দল না ছাড়ার শপথ নিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। মন্দির, মসজিদ ও গির্জাকে সাক্ষী রেখে কংগ্রেস ত্যাগ না করার কথা জানিয়েছিলেন প্রার্থীরা। ২০১৯ সালের পর কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ ছিল কংগ্রেস। ২০১৭ সালে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ৪০টি আসনের মধ্যে ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। ১৩টি আসনে জিতেও নির্দল ও ছোট দলগুলির সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। ২ বছর পর জয়ী ১৭ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ১৫ জন বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন।
২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের রিসর্টে রেখেছিল কংগ্রেস। সেই সময় দল পরিবর্তনকে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু’ আখ্যা দিয়েছিলেন কামাত। তার কয়েকমাসের মধ্যেই কামাতের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কংগ্রেস যখন রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করছে তখন ৮ জন কংগ্রেস বিধায়কের দলবদল নিঃসন্দেহে দলীয় নেতৃত্বের জন্য অস্বস্তির। আগামী দিন শতাব্দীপ্রাচীন দল এই নিয়ে কী পদক্ষেপ করে সেটাই এখন দেখার।