সার্চ ইঞ্জিনের জন্য নয় ভারতের নয়া তথ্য-প্রযুক্তি বিধি, হাইকোর্টে দাবি গুগলের

Jun 02, 2021 | 7:14 PM

এক মহিলার ছবি পর্নোগ্রাফিক সাইটে আপলোড হওয়ার অভিযোগে মামলা চলছিল হাইকোর্টে (High Court)। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে গুগল (Google)।

সার্চ ইঞ্জিনের জন্য নয় ভারতের নয়া তথ্য-প্রযুক্তি বিধি, হাইকোর্টে দাবি গুগলের
ফাইল ছবি

Follow Us

নয়া দিল্লি: ভারতের নতুন তথ্য ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিধি সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) জন্য প্রযোজ্য হলেও সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, আজ বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High court) এমনটাই দাবি জানাল মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা গুগল (Google)। তাদের দাবি, তাদের সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও সংযোগ নেই। একই সঙ্গে সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া দিল্লি হাইকোর্টের আগের রায় স্থগিত রাখার আবেদনও জানানো হয়েছে।

কিছু দিন আগে গুগল একটি মামলায় জড়িয়ে যায়। যেখানে দেখা যায়, কেউ বা কারা এক মহিলার সম্মতি ছাড়াই তাঁর কিছু ছবি পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে আপলোড করেছিল। আদালত সেই কনটেন্ট সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও, ছবিটি ইন্টারনেট থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলা যায়নি। পরে আরও কয়েকজন ব্যক্তি ওই ছবিটি ফের অন্যান্য অশ্লীল ওয়েবসাইটে পোস্ট করেন। আদালত এ কথা উল্লেখ করে গত ২০ এপ্রিল জানিয়েছিল যে ওয়েবসাইটটিতে আপত্তিজনক বিষয়বস্তুটি রয়েছে, সেই ওয়েবসাইটে ছবিটি সরিয়ে দেওয়ার জন্য যথাযথ নির্দেশ জারি করতে হবে। সেই সঙ্গে গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে যাতে আপত্তিজনক কনটেন্ট না আসে, তার জন্য অতিরিক্ত নির্দেশাবলী জারি করার কথাও বলে আদালত।

গুগলের তরফে আদালতের এই পর্যবেক্ষণে আপত্তি জানানো হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট এই সংস্থাকে নতুন আইটি বিধির আওতায় ফেলতে পারে না। গুগলের এই আবেদনের প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য আদালত কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি সরকার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া, ফেসবুক, ওই পর্নোগ্রাফিক সাইট এবং সেই মহিলাকে নোটিশ দিয়েছে। ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে সকলকে জবাব দিতে বলা হয়।

আরও পড়ুন: তাড়াহুড়ো নয়, তিন শর্ত পূরণ হলেই আনলক পর্ব শুরুর পরামর্শ আইসিএমআরের প্রধানের

নতুন এই তথ্য প্রযুক্তি বিধি, ২০২১ কার্যকর হয়েছে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই বিধি মেনে চলার জন্য ৩ মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এই তিন মাসের মেয়াদ ২৫ শে মে শেষ হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত তৈরি হয়েছে। বাকস্বাধীনতা নিয়ে টুইটার উদ্বেগ প্রকাশ করে। তাদের দাবি, নতুন আইটি নিয়মের এমন উপাদান রয়েছে যা মুক্ত কথোপকথনে বাধা দেয়।

Next Article