গতকালের তুলনায় সামান্য সংক্রমণ বাড়লেও অনেকটাই স্বস্তিতে দেশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৮৮ জন। মঙ্গলবারই দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫১০ জন, যা বিগত ৫১ দিনের সর্বনিম্ন সংক্রমণ ছিল। সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২০৭ জনের। এ দিকে, একদিনেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৪৫৬ জন। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ কোটি ৮৩ লক্ষ ৭ হাজার ৮৩২-এ। এরমধ্যে করোনাকে হার মানিয়েছেন ২ কোটি ৬১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮৫ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬৪৫।
দেশে ক্রমশ কমছে করোনা সংক্রমণ। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিশেষ উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে চিকিৎসক মৃত্যু। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫৯৪ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যজুড়েও সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও অ্যাম্বুলেন্স চালকদের লুঠতরাজ জারি রয়েছে। আসানসোল থেকে দুর্গাপুর আসতেই এক ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া হল ১৭ হাজার টাকা। করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় আপডেট দেখে নিন একনজরে-
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় সবচেয়ে খারাপ পর্ব পেরিয়ে ক্রমেই সু্স্থতার পথে এগোচ্ছে বাংলা। গত ৪০ দিনে মঙ্গলবার প্রথম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে ১০ হাজারের নীচে। জেলায় জেলায় দ্রুতগতিতে কমছে সংক্রমণ। একটি বা দু’টি জেলা বাদ দিলে বাকি সব জেলায় কার্যত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে হু-হু করে। শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ারেই সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাকি সব জেলায় তা নিম্নমুখী। যদিও মৃত্যুর হার এখনও কিছুটা চিন্তার কারণ হয়ে রয়েছে। তবে আগামী সময় সেটাও কমে আসবে বলেই আশা করা হচ্ছে। একনজরে দেখে নিন রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের ছবিটা কেমন।
বিস্তারিত পড়ুন: রাজ্যে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা, দেখে নিন আপনার জেলায় সংক্রমণের ছবিটা কেমন
রাজ্যে দ্রুত কমছে সংক্রমণের হার। টেস্টের সংখ্যা বাড়লেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ নিম্নমুখী। ফলে স্বস্তি মিলছে স্বাভাবিকভাবেই। প্রায় ৪০ দিন পর গতকাল প্রথমবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নীচে নেমেছিল। এ দিন তা নামল ৯ হাজারের নীচে। স্বস্তি দিচ্ছে ক্রমশ কমতে থাকা পজিটিভিটির হারও। যদিও কোন সার্বিক মৃত্যুর হার এখনও ১৩০-এর উপরে। একমাত্র আলিপুরদুয়ার বাদে রাজ্যের অন্যান্য সব জেলাতেই সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমতে দেখা গিয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন: টেস্ট বাড়লেও কমছে সংক্রণের হার, রাজ্যে করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী, সক্রিয় আক্রান্ত ৭০ হাজার
কোভিডে মা ও বাবা দু’জনকেই হারিয়েছেন যাঁরা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ৫ লক্ষ টাকা দিচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার। ২১ বছর বয়স হলে তারা সেই টাকা পাবে। যারা বাবা অথবা মা একজনকে হারিয়েছে, তাদের আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের নারী ও শিশুকল্যান মন্ত্রী যশোমতী ঠাকুর।
ভ্যাকসিন (Vaccination) পলিসি নিয়ে আগে থেকেই অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। দেশে টিকাকরণ সঠিক পথে হচ্ছে না বলে বারবার আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা। এ বার সেই টিকাকরণ নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) কড়া সমালোচনার মুখে কেন্দ্র। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের কেন টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিরা। এই পন্থাকে ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে কত ভ্যাকসিন মিলতে পারে, সেই হিসেবও দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে।
বিস্তারিত পড়ুন: ‘মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের’, টাকা নিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার পলিসির কড়া সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টের
বাংলায় বিধি নিষেধের মধ্যে একটু একটু করে কমছে করোনা (COVID 19) আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু, এরই মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis)। মহারাষ্ট্র বা কর্ণাটকের মতো রাজ্যে অনেক আগেই এই ছত্রাক বিস্তার লাভ করেছিল। কিন্তু, বাংলাতেও একের পর এক মৃত্যু তৈরি করছে নতুন ভয়। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন: রাজ্যে বাড়ছে আতঙ্ক, মিউকরমাইকোসিসে এক দিনে জোড়া মৃত্যু
চলতি বছরের শেষভাগের মধ্যেই সকল দেশবাসীকে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই অনুমোদন প্রাপ্ত করোনা টিকাগুলির উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি টিকা অনুমোদন প্রক্রিয়াতেও বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে কেন্দ্র। সূত্র অনুযায়ী, ভারতে ফাইজ়ার (Pfizer) ও মর্ডানা(Moderna)-র টিকার অনুমোদনের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণে ছাড় দেওয়া হতে পারে।
বিস্তারিত পড়ুন: টিকা ঘাটতি মেটাতে বড় পদক্ষেপ, ক্ষতিপূরণে ছাড় পেতে পারে ফাইজ়ার-মডার্না, দাবি সূত্রের
গত এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হলেও এখনও সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে ওঠেননি কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তবে দেশের করোনা পরিস্থিতি ও টিকাকরণের গতি নিয়ে নিজেকে অবগত রেখেছেন। অসুস্থতার মধ্যেই তিনি বুধবার সকালে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়ে একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন। দু মিনিটের সেই ভিডিয়োবার্তায় তিনি বলেন, “ভারতকে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচান। সকলের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণের ব্যবস্থা করুন।”
বিস্তারিত পড়ুন: ‘বিনামূল্যে করোনা টিকার ব্যবস্থা করুন’, শয্যাশায়ী অবস্থাতেই কেন্দ্রকে বার্তা শশী থারুরের
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের পরিস্থিতি বেসামাল হতেই একাধিক রাজ্যে জারি করা হয়েছিল লকডাউন (Lockdown)। বর্তমানে সেই সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসায় আনলক প্রক্রিয়া (Unlock Process) শুরু করার পরিকল্পনা করছে রাজ্যগুলি। কিন্তু কোন পদ্ধতি মেনে সেই আনলক প্রক্রিয়া শুরু করলে তৃতীয় ঢেউ থেকে সুরক্ষা মিলবে, তা জানালেন আইসিএমআরের প্রধান বলরাম ভার্গব (Balaram Bhargava)।
বিস্তারিত পড়ুন: তাড়াহুড়ো নয়, তিন শর্ত পূরণ হলেই আনলক পর্ব শুরুর পরামর্শ আইসিএমআরের প্রধানের
করোনা যুদ্ধে সকলেই নিজের সাধ্য মতো সাহায্য করছে। তবে চণ্ডীগঢ়ের এক কিশোর অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কেনার জন্য অনলাইনেই সাত লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ সংগ্রহ করল। গর্ব সিং নামক ওই কিশোর জানান, তাঁর নিজের জমানো ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কেনে। এরপরই অনলাইনে অর্থ সংগ্রহ শুরু করে। সংগ্রহ করা টাকা থেকে এখনও অবধি মোট ১৩টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কিনেছে ওই কিশোর।
Chandigarh: Garv Singh, 16, has raised over Rs 7 lakhs online to purchase oxygen concentrators for helping the needy COVID patients
"I bought a concentrator with my saving of Rs 50,000, then I started a fundraiser & bought 13 concentrators. I give it to the needy,"he said y'day pic.twitter.com/lGon5rCNfk
— ANI (@ANI) June 2, 2021
এবার মহারাষ্ট্রেও তৈরি হবে কোভ্যাক্সিন। রাজ্য সরকারের অধীনে হ্যাফকিন বায়ো-ফার্মাসিউটিকাল কর্পোরেশন এই টিকা তৈরি করবে। এই বিষয়ে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানান, ইতিমধ্যেই কোভ্যাক্সিন উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছি আমরা। বর্তমানে ভারত বায়োট্ক সংস্থার সঙ্গে পরবর্তী প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বার্তা চলছে। আগামী আট মাসের মধ্যেই উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
Maharashtra: Haffkine Bio-Pharmaceutical Corporation Limited (HBPCL) under state govt prepares for Covaxin production
"We've received approval for Covaxin production & are in talks with Bharat Biotech for further process. We'll be initiating production in 8 months, says the MD pic.twitter.com/kR2L6SVC8J
— ANI (@ANI) June 2, 2021
ফাইজ়ারের টিকা নেওয়া পরই কিছু সংখ্যক মানুষের দেহে দেখা যাচ্ছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এর মধ্যে অধিকাংশই আবার অল্পবয়সী, মঙ্গলবার এমনটাই ইজরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গত বছরের শেষভাগ থেকেই ইজরায়েলে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে মোট ২৭৫ জনের হৃৎযন্ত্রে প্রদাহের সৃষ্টি হয়েছে, যা মায়োকার্ডিটিস নামে পরিচিত। এগুলি করোনা টিকা নেওয়ার সঙ্গেই সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ৯৫ শতাংশের ক্ষেত্রেই তা স্বল্প প্রদাহ বলে ধরা হয়েছে।
বিস্তারিত পড়ুন: ফাইজ়ারের টিকা নিয়েই অল্পবয়সীদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে হৃৎযন্ত্রে প্রদাহ, দাবি ইজরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু চিকিৎসকো। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৯৪ জন চিকিৎসক।
Indian Medical Association (IMA) says 594 doctors died during the second wave of COVID-19 pic.twitter.com/rbFbwhgL55
— ANI (@ANI) June 2, 2021
ভারতে করোনার তিনটি প্রজাতি বা ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিললেও চিন্তা কেবল একটি ভ্যারিয়েন্টকে নিয়েই, মঙ্গলবার এমনটাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাকি দুটি ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেই জানানো হয়।
বিস্তারিত পড়ুন: উদ্বেগের কারণ কেবল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টই, সিলমোহর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
ভারতকে করোনা যুদ্ধে সাহায্য করতে হাত বাড়িয়ে দিল আইসল্যান্ডও। এ দিন ভোরবেলায় ১৫টি ভেন্টিলেটর ও ১২ হাজার ফ্যাবিপিরাভিরের ট্যাবলেট নিয়ে আইসল্যান্ড থেকে ভারতে আসে একটি বিশেষ বিমান।
A consignment of 15 ventilators and 12,000 tablets of Favipiravir arrived in India from Iceland early this morning: MEA pic.twitter.com/pzfritPZn5
— ANI (@ANI) June 1, 2021