নয়া দিল্লি: নিয়োগ দুর্নীতির পাহাড় প্রমাণ অভিযোগের সব দিকগুলি তুলে ধরছে টিভি নাইন বাংলা। একদিকে বীরভূমের নলহাটিতে বিভাস অধিকারীর ডেরায় খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন টিভি নাইন বাংলার রিপোর্টার ও ক্যামেরাপার্সন। এই বিভাস অধিকারীর কথা প্রথম বলেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তে নাম জড়ানো অন্যতম ব্যক্তি গোপাল দলপতি। গোপাল দলপতি বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে রাজধানীতে পৌঁছে গিয়েছে টিভি নাইন বাংলা। টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধির সঙ্গে মুখোমুখি গোপাল দলপতি। অকপট আলাপচারিতায় উঠে এল বিভিন্ন বিষয়।
গোপাল দলপতির নামে ৬৫টি ডিডের কথা শোনা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার সম্পত্তি। এত কোথা থেকে এল? টিভি নাইন বাংলার প্রশ্নের উত্তরে গোপাল দলপতি বলছেন, ‘কারও সম্পত্তি থাকা কি অন্যায়? আমার শুধু ৬৫টি কেন ৬৫০০ ডিড থাকতে পারে। আমার এক কোটি কেন, ২৫ লাখ কোটি টাকার মালিক হতে পারি। গৌতম আদানি তো ২৫ লাখ কোটি টাকার মালিক। কই, তাঁর সম্বন্ধে তো কেউ কিছু বলছে না। কারণ, সম্পত্তি থাকায় কিছু যায় আসে না। দেখতে হবে, ওই সম্পত্তি কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত পথে এসেছে কি না। সেটাই দেখতে হবে।’
গোপাল দলপতির দাবি, এই সব টাকা তিনি সৎ পথেই কামিয়েছেন। গোয়েন্দারা তদন্ত করলেই সব দেখতে পাবেন বলে জোরালো দাবি করলেন তিনি। এমনকী তাঁর যাবতীয় সম্পত্তির ডিড কবে কেনা হয়েছে, কত টাকায় কেনা হয়েছে, কোথা থেকে সেই টাকা এসেছে, সেই সব তথ্যও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তিনি দিয়ে দিতে পারবেন বলেও জানান গোপাল দলপতি। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে তাঁর যে জায়গাটি রয়েছে, গোপাল দলপতি জানালেন সেটি ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি কেনা হয়েছিল। ১৪ লাখ টাকায় কেনা হয়েছিল। ওই ১৪ লাখ টাকা নিজের আয় করা টাকা বলেই দাবি করছেন তিনি।
গোপাল দলপতি বললেন, ‘তখন তো শিক্ষা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল না। তখন আমি ব্যবসা করতাম, টিউশন করতাম। ২৪০ জন স্টুডেন্ট ছিল আমার। আমি টিউশন করেই মাসে ১ লাখ- দেড় লাখ টাকা করে কামাতাম। তাহলে সেই পয়সাগুলো গেল কোথায়? আমি একটা কোম্পানিতে কাজ করতাম, সেখানেও বেতন পেয়েছি। সেই সব হিসেব আছে।’