নয়া দিল্লি: জাতীয় করোনা টিকাকরণ কর্মসূচির অংশ হতে চলেছে জ়াইকোভ-ডি (ZycoV-D)। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, বায়োটেকনোলজি বিভাগের সঙ্গে মিলিত প্রচেষ্টায় জ়াইডাস ক্যাডিলা(Zydus Cadila)-র যে ভ্য়াকসিনটি তৈরি করা হয়েছে, তা আগামী সপ্তাহ থেকেই টিকাকরণ কর্মসূচির অংশ হতে চলেছে। জ়াইডাসের টিকার মাধ্যমেই দেশে ১৮ অনুর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু করা হতে পারে।
গত ২০ অগস্টই ভারতে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে জ়াইডাস ক্যাডিলার এই ভ্যাকসিন। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, অক্টোবর মাস থেকেই প্রতিমাসে ১ কোটি ডোজ় ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। সূচবিহীন তিন ডোজ়ের এই ভ্যাকসিন ১২ বছরের বেশি বয়সীদেরও দেওয়ার জন্য সুরক্ষিত বলেই প্রমাণিত হয়েছে। ৩ থেকে ১২ বছর বয়সিদের জন্য এই টিকার ট্রায়াল শুরু করার চিন্তাভাবনা করছে সংস্থা, ইতিমধ্যেই আবেদনও জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক জানান, আগামী সপ্তাহেই হয়তো জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচিতে জ়াইকো-ডি ভ্যাকসিনটিকেও সংযুক্ত করা হতে পারে। বিশেষজ্ঞ দলের এক পক্ষের মত, অক্টোবর মাস থেকেই ১৮ অনুর্ধ্বদেরও করোনা টিকাকরণ শুরু করা হোক। সেক্ষেত্রে কেবল জ়াইডাস ক্যাডিলার ভ্য়াকসিনই প্রয়োগ করা হবে, কারণ অন্য কোনও ভ্যাকসিন এখনও অবধি শিশুদের পক্ষে সুরক্ষিত বলে প্রয়োজনীয় ট্রায়ালের তথ্য জমা দিতে পারেনি।
কো-মর্ডিবিটি যুক্ত ১২ উর্ধ্ব কিশোর-কিশোরীদের মাধ্যমেই দেশের পরবর্তী ধাপের টিকাকরণ শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে নয়া দিল্লির একটি হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, ” কেবলমাত্র কো-মর্ডিবিটি যুক্ত শিশুদরই নয়, আগামিদিনে আমাদের সকল শিশুকেই করোনা টিকা দিতে হবে। সুতরাং যত দ্রুত টিকাকরণ শুরু করা যায়, ততই ভাল।”
জ়াইডাস ক্য়াডিলার এই ভ্যাকসিনের দাম কত হবে, তা নিয়েও ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য় ভি কে পাল। তিনি গত সপ্তাহেই সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “টিকার দাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শীঘ্রই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বর্তমানে দেশে অনুমোদনপ্রাপ্ত করোনা টিকার সংখ্যা ৬, এরমধ্য়ে কেবল জ়াইকোভ-ডি ভ্যাকসিনটিই ১২ বছরের বেশি বয়সীদের দেওয়া সম্ভব। শিশুদের জন্য ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্য়াক্সিনের তৃতীয় দফার ট্রায়ালও প্রায় শেষ পর্যায়ে। শীঘ্রই অনুমোদক সংস্থার কাছে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।