নয়াদিল্লি: নিট ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। শুক্রবার সংসদে এই নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। কেন্দ্র অবশ্য আগেই জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে সবরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আর এদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানালেন, সংসদে নিট ইস্যুতে সবরকম আলোচনায় রাজি কেন্দ্র। কিন্তু, বিরোধীদের শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।
এদিন সংসদের দুই কক্ষে নিট ইস্যুতে সরব হয় বিরোধীরা। হট্টগোলের জেরে আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়। সংসদে হট্টগোলের সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেকোনও আলোচনায় প্রস্তুত কেন্দ্র। কিন্তু, সব আলোচনা সংসদের ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে হওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “গতকাল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নিজেই পরীক্ষা ইস্যু উল্লেখ করেছেন। সরকারও আলোচনায় রাজি। রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে আলোচনায় বসুন বিরোধীরা। সোমবার থেকে সংসদে আলোচনা হবে। আপনাদের যা মনে হবে, বলবেন।”
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। অভিযুক্তরা কেউ ছাড়া পাবে না। যুব ও পড়ুয়াদের প্রতি দায়বদ্ধ সরকার। NTA-র দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে সরানো হয়েছে। এনটিএ-র সংস্কারের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারের মনোভাব এতেই স্পষ্ট হচ্ছে। বিরোধীদের কাছে অনুরোধ, পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করবেন না।”
#WATCH NEET मुद्दे पर सदन में हुए शोर के बीच लोकसभा कार्यवाही दिनभर के लिए स्थगित की गई।
केंद्रीय शिक्षा मंत्री धर्मेंद्र प्रधान ने कहा, “सरकार किसी भी प्रकार की चर्चा के लिए तैयार है लेकिन सब मर्यादा के तहत होना चाहिए… हम किसी भी विषय का सामना करने के लिए प्रस्तुत हैं…हम… pic.twitter.com/LJv9BWyLlw
— ANI_HindiNews (@AHindinews) June 28, 2024
চিকিৎসকের পেশায় যাওয়ার জন্য নিট প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। গত ৫ মে প্রায় ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থী নিট পরীক্ষা দেন। আর গত ৪ জুন এই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই র্যাঙ্ক নিয়ে শোরগোল পড়ে। ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০ নম্বরের পরীক্ষায় ৭২০ পান। আবার ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছিল। যাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে। মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। গ্রেস নম্বর যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের আবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলে কেন্দ্র। নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমেছে সিবিআই।