পুজোর মাস থেকেই টিকা পাবে ১৮ অনুর্ধ্বরা, তৃতীয় ঢেউ থেকে কতটা সুরক্ষিত শিশুরা? জানালেন বিশেষজ্ঞ

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 26, 2021 | 10:21 AM

ডঃ অরোরা বলেন, "দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ১২ কোটি নাবালক-নাবালিকা রয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে তাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অন্য়দিকে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের করোনা আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা ১০ থেকে ১৫ গুণ বেশি।"

পুজোর মাস থেকেই টিকা পাবে ১৮ অনুর্ধ্বরা, তৃতীয় ঢেউ থেকে কতটা সুরক্ষিত শিশুরা? জানালেন বিশেষজ্ঞ
করোনা থেকে রক্ষা পাবে কি খুদেরা? ছবি :PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: আর বেশিদিন অপেক্ষা নয়, পুজোর মাসেই আসছে শিশুদের জন্য করোনা টিকা (COVID Vaccine for Children)। ইতিমধ্যেই তৈরি হচ্ছে তালিকা, অক্টোবরে জ়াইডাস ক্যাডিলা (Zydus Cadila)-র ভ্যাকসিন বাজারে আসার আগেই ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকাকরণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য় প্রকাশ করা হবে।বুধবার এমনটাই জানালেন ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজ়েশনের অধিকর্তা ডঃ এনকে অরোরা।

করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পুজোর মাস অর্থাৎ অক্টোবরেই সংক্রমণ শীর্ষে উঠতে পারে। সঠিক সতর্কতা অবলম্বন না করলে দৈনিক পাঁচ থেকে সাত লক্ষ মানুষও করোনা আক্রান্ত হতে পারে। যদিও NTAGI-র অধিকর্তা এনকে অরোরা একটি সেরো সার্ভে তুলে ধরে জানান, শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বরং শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য শীঘ্রই স্কু-কলেজ খুলে দেওয়া উচিত।

ডঃ অরোরা বলেন, “দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ১২ কোটি নাবালক-নাবালিকা রয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে তাদের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অন্য়দিকে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের করোনা আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা ১০ থেকে ১৫ গুণ বেশি। সেই হিসাবেই শিশুদের টিকাকরণের আগে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের উপরই জোর দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি জানান, দেশে ১৮ বছরের কম বয়সী প্রায় ৪৪ কোটি শিশু রয়েছে, তবে তাদের সকলেরই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, বা সংক্রমিত হলেও গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সম্প্রতি করা একটি সেরো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে শিশুদেরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সুতরাং তড়িঘড়ি টিকাকরণেরও প্রয়োজন নেই। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরাতে শিশুদেরও একটি সুরক্ষা কবচের প্রয়োজন। সেই কারণেই অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণের প্রয়োজন। এছাড়াও অক্টোবর মাস থেকে শিশুদেরও টিকাকরণ শুরু করা হবে।

শিশুদের টিকাকরণের জন্য দেশে ইতিমধ্যেই কোভ্যাক্সিনের টিকার ট্রায়াল চলছে। এ দিকে, গত ২০ অগস্টই জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভিত্তিক ও সূচ বিহীন করোনা টিকা। জ়াইডাস ক্যাডিলার ভ্য়াকসিন জ়াইকোভ-ডি ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়া যাবে।

বায়োটেকনোলজি বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, জ়াইকোভ-ডি প্রয়োগের মাধ্যমে দেহে করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন প্রবেশ করানো হয়। এরফলে দেহ থেকে ভাইরাস দূর করার পাশাপাশি ভাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে ওঠে।  এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের উপর করোনা টিকা প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে যে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬.৬ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে। ভারতে করোনা টিকার উপর এটিই সবথেকে বড় ট্রায়াল।  আরও পড়ুন: অসংগঠিত শ্রমিকদেরও কেন্দ্রের স্বীকৃতি, বিশেষ সুবিধা দিতে আনা হচ্ছে ‘ই-শ্রম’ পোর্টাল

 

Next Article