খেতে দেওয়া হয় ২৪ ক্যারেট সোনার প্লেটে! ভারতের এই ট্রেনের একটা টিকিটের দামে ফ্ল্যাট বুক করে ফেলতে পারবেন…
Indian Railways: দেশের সবথেকে দামি ট্রেনের ভাড়া লাখ টাকা! গোটা ট্রেন নয়, এক একটি টিকিটেরই দাম কয়েক লাখ টাকা। কোন ট্রেন এটি জানেন? মহারাজা এক্সপ্রেস। এই ট্রেন মহারাজাদের মতোই। এতে মোড়ানো সোনা-রুপো। এই ট্রেনের একপিঠের ভাড়া ২১ লক্ষ টাকা!

নয়া দিল্লি: বিশ্বের অন্য়তম বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railways)। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম- দেশের প্রতিটি প্রান্তকেই জুড়েছে রেলওয়ে। গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের কথা মাথায় রেখে ট্রেনগুলির টিকিটের দামও সাধ্যের মধ্যে রাখা হয়। মাত্র কয়েকশো টাকাতেই আপনি দূর-দূরান্তের গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারেন। সস্তায় ট্রেনের কথা তো অনেকেই জানেন, তবে দেশের সবথেকে দামি ট্রেনের কথা জানেন কি? এর একটা টিকিটের দামে আপনার নতুন ফ্ল্যাটের ডাউন পেমেন্ট হয়ে যাবে!
দেশের সবথেকে দামি ট্রেনের ভাড়া লাখ টাকা! গোটা ট্রেন নয়, এক একটি টিকিটেরই দাম কয়েক লাখ টাকা। কোন ট্রেন এটি জানেন? মহারাজা এক্সপ্রেস। এই ট্রেন মহারাজাদের মতোই। এতে মোড়ানো সোনা-রুপো। এই ট্রেনের একপিঠের ভাড়া ২১ লক্ষ টাকা!
এই ট্রেনের লম্বা রুট রয়েছে। কেউ যদি দিল্লি-আগ্রা-রণথম্বোর-জয়পুর-দিল্লি রুটে এই ট্রেনে সফর করেন এবং ডিলাক্স কেবিনে টিকিট কাটেন, তাহলে তার খরচ পড়বে ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ২১০ টাকা। যদি কেউ জুনিয়র স্যুইট বুক করেন, তাহলে খরচ পড়বে ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৪০০ টাকা। স্যুইটের ক্ষেত্রে এই খরচ আরও বেশি, ৬ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩১০ টাকা এবং প্রেসিডেন্শিয়াল স্যুইটের ভাড়া ১১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯৮০ টাকা।
সেখানেই দিল্লি-জয়পুর-রণথম্বোর-ফতেহপুর সিক্রি-আগ্রা-খাজুরাহো-বারাণসী-দিল্লি রুটের ট্রেনে চড়েন, তাহলে ডিলাক্স কেবিনের খরচ পড়বে ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৮০ টাকা। জুনিয়র স্যুইটের ভাড়া ৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৩০ টাকা। রেগুলার স্যুইটের ভাড়া ১২ লক্ষ ২৪ হাজার ৪১০ টাকা। প্রেসিডেন্শিয়াল স্যুইটের ভাড়া ২১ লক্ষ ৩ হাজার ২১০ টাকা!
মহারাজা এক্সপ্রেসে কী কী আছে?
২০১০ সালে পথচলা শুরু হয় মহারাজা এক্সপ্রেসের। এটি আইআরসিটিসি (IRCTC) পরিচালিত। এটা দেশের সবথেকে দামি তথা লাক্সারি ট্রেন। এই ট্রেনে মোট ২৩ কামরা রয়েছে। সারা বছর আবার এই ট্রেন চলে না। সেপ্টেম্বরের শেষ ভাগ থেকে এপ্রিল মাসের শুরু অবধি চলে এই ট্রেন। সর্বাধিক ৮৮ জন যাত্রীই সফর করতে পারেন এই ট্রেনে। এত কম সংখ্যক যাত্রী নেওয়া হয় পার্সোনালাইজড সার্ভিসের জন্য।
মহারাজা এক্সপ্রেসের অন্দরসজ্জা সোনা-রুপোয় মোড়ানো। এই ট্রেনে চেয়ার থেকে শুরু করে বিছানা ও অন্যান্য সব আসবাব বিশ্বমানের। পাঁচতারা হোটেলের মতোই এই ট্রেনের কামরায় টিভি, ইন্টারনেট , ইলেকট্রনিক লকার, এয়ার কন্ডিশনিং, প্রাইভেট বাথরুম থাকে।
এই ট্রেনে আবার দুটি মাল্টি কুইজিন রেস্তোরাঁ রয়েছে। ময়ূর মহল ও রঙ মহল। ভারতীয় থেকে শুরু করে কন্টিনেন্টাল, মেওয়ারি, মুঘলাই- সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় এখানে। ট্রেনের যাত্রীদের ২৪ ক্যারেট সোনায় মোড়ানো প্লেটে খেতে দেওয়া হয়।
