Asaram Bapu: আশ্রমের ঘেরাটোপে শিষ্যাই বাবাজির লালসার শিকার, আরও এক মামলায় দোষী আশারাম বাপু

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jan 30, 2023 | 7:13 PM

self styled godman Asaram Bapu: এক দশকের পুরনো এক যৌন নিগ্রহের মামলায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করল গুজরাটের এক নিম্ন আদালত। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন সুরাটের এক মহিলা। তিনি আশারাম বাপুরই শিষ্যা ছিলেন।

Asaram Bapu: আশ্রমের ঘেরাটোপে শিষ্যাই বাবাজির লালসার শিকার, আরও এক মামলায় দোষী আশারাম বাপু
ইতিমধ্য়েই আরেক ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছে স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপু (ফাইল ছবি)

Follow Us

আহমেদাবাদ: সোমবার (৩০ জানুয়ারি), এক দশকের পুরনো এক যৌন নিগ্রহের মামলায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুকে (Asaram Bapu convicted in 2013 rape case ) দোষী সাব্যস্ত করল গুজরাটের এক নিম্ন আদালত। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন সুরাটের এক মহিলা। তিনি আশারাম বাপুরই শিষ্যা ছিলেন। ২০১৩ সালে আহমেদাবাদের মোতেরার আশ্রমে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছিল আশারাম বাপু, এমনই অভিযোগ করেছিলেন ওই মহিলা। এদিন গান্ধীনগর দায়রা আদালত, এই মামলায় আশারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করল। আদালত অবশ্য তার স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা-সহ আরও ছয় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। মঙ্গলবার, এই মামলার সাজা ঘোষণা করা হবে। ২০১৮ সালে আরও এক র্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। বর্তমানে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছে সে।

আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছিল। অবৈধভাবে আটকে রাখা, যৌন হেনস্থা, নারী পাচার, ধর্ষণ, অপ্রাকৃতিক যৌনতা, অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে ভয় দেখানো এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল আশারামের ছেলে নারায়ণ সাই, স্ত্রী লক্ষ্মী, মেয়ে ভারতী এবং ধ্রুববেন, নির্মলা, জস্সি এবং মীরা নামে আশারামের আরও চার মহিলা অনুগামীর। গান্ধীনগর দায়রা আদালত তাদের সকলকেই বেকসুর খালাস দিয়েছে। বিশেষ সরকারি আইনজীবী আরসি কোডেকর জানিয়েছেন, আদালত সরকার পক্ষের যুক্তি গ্রহণ করেছে এবং আশারামকে ধর্ষণ, অপ্রাকৃতিক যৌনতা এবং অবৈধভাবে আটক রাখার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

২০১৮ সালে এক ১৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। যোদপুরের এক নিম্ন আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। তারপর থেকে সে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারেই রয়েছে। যোধপুর শহরে তার যে আশ্রম ছিল, সেখানেই ২০১৩ সালে ওই নাবালিকাকে সে ধর্ষণ করেছিল বলে প্রমাণিত হয়েছিল আদালতে। ২০১৩-র অগস্টেই ইন্দোর থেকে আশারামকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপর তাকে আনা হয়েছিল যোধপুরে। এই মামলার ক্ষেত্রে ধর্ষণের পাশাপাশি পকসো আইনের একাধিক ধারাতেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল আশারাম বাপু।

Next Article