Hardik Patel joins BJP: গেরুয়া টুপি-গেরুয়া উত্তরীয়, বিজেপিতে ‘ক্ষুদ্র সৈনিক’ হার্দিক

Gujarat: প্রত্যাশা মতোই বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিজেপিতে যোগ দিলেন হার্দিক প্যাটেল।

Hardik Patel joins BJP: গেরুয়া টুপি-গেরুয়া উত্তরীয়, বিজেপিতে 'ক্ষুদ্র সৈনিক' হার্দিক
গান্ধীনগরের বিজেপি কার্যালয়ে এসে দলে যোগ দিলেন হার্দিক (ছবি সৌজন্য - এএনআই)
Follow Us:
| Updated on: Jun 02, 2022 | 3:08 PM

আহমেদাবাদ: প্রত্যাশা মতোই বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিজেপিতে যোগ দিলেন হার্দিক প্যাটেল। কংগ্রেস ত্যাগ করার মাত্র কয়েক দিন পরই গেরুয়া শিবিরে ভিড়লেন তিনি। এদিন গান্ধীনগরের বিজেপি কার্যালয়ে তাঁকে গেরুয়া টুপি এবং গেরুয়া উত্তরীয় দিয়ে দলে স্বাগত জানানো হয়। আসন্ন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামীন গুজরাট, যেখানে বিজেপির শক্তি দৃশ্যতই কম, সেই সব এলাকায় হার্দিকের হাত ধরে প্রভাব বাড়াতে পারে পদ্ম শিবির।

২০১৫ সালের পতিদার আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন হার্দিক। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তাঁর রাজনৈতিক জগতে উত্থান ঘটেছিল। সামাজিক আন্দোলনে থাকতে থাকতেই ২০১৯ সালে তিনি কংগ্রেসের হাত ধরেছিলেন। তবে, গত ১৮ মে কংগ্রেস দল ত্যাগ করেছিলেন হার্দিক প্যাটেল। অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলীয় সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন গুজরাটের এই পতিদার নেতা। বস্তুত দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বেসুরো ছিলেন। রাহুল গান্ধী গুজরাট সফরে এসে তাঁর সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। তাতে বিশেষ লাভ হয়নি।

কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরই, কংগ্রেস শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন হার্দিক। তাঁর অভিযোগ ছিল, দলীয় কর্মীদের সমস্যা সোনার পরিবর্তে তাঁরা নিজেদের মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। গুজরাতের কংগ্রেস নেতারা আবার দলীয় সভায় চিকেন স্যান্ডুইচ সংগ্রহ করতেই বেশি আগ্রহী থাকেন, এমনও বলেছিলেন এই পতিদার নেতা। তবে তার আগে থেকেই হার্দিকের মুখে বিজেপি দল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা শোনা যেত।

দল ছাড়ার পর প্রাথমিতভাবে অবশ্য তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না বলেই দাবি করেছিলেন। হার্দিক বলেছিলেন, ‘একটি দলের প্রশংসা করলেই সেই দলে যোগ দিতে হবে, তার কোনও মানে নেই’। তবে, জল্পনা ছিলই। ২ জুনই যে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন, সেই খবরও ছড়িয়ে পড়েছিল রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার সকালেই এক টুইট করে সেই জল্পনায় সিলমোহর দিয়েছিলেন হার্দিক। বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশের সেবায় আমি একজন ক্ষুদ্র সৈনিক হিসাবে কাজ করব’।

২৮ বছরের হার্দিকের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হয়েছিল একজন ছাত্রনেতা হিসাবে। ২০১২ সালে তিনি লালজি প্যাটেলের নেতৃত্বে সর্দার প্যাটেল গ্রুপ-এ যোগ দিয়েছিলেন। লালজিই ছিলেন হার্দিকের রাজনৈতিক গুরু। পতিদার সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলনে ছিলেন হার্দিক। ২০১৫ সালে সেই আন্দোলন বিপুল জনসমর্থন পেয়েছিল। ২০১৭ সালের নির্বাচনে হার্দিকের আহ্বানেই পতিদার সম্প্রদায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল বিজেপির দিক থেকে। পতিদার অধ্যূষিত বহু আসনেই হারতে হয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরের বছরই তাঁকে গুজরাট কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছিল। সর্বকণিষ্ঠ হিসাবে তিনি এই পদ পেয়েছিলেন।