আহমেদাবাদ: ‘মোদী পদবি’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায়কে গুজরাট হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। আজ শুক্রবার (৭ জুলাই), সেই মামলার রায় দেবে হাইকোর্ট। এর আগে, কংগ্রেস নেতাকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করেছিল হাইকোর্ট। মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুরাটের এক দায়রা আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল এবং তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে, জেলা আদালতও সেই রায় বহাল রেখেছে। দুই বছরের বেশি কারাদণ্ড পাওয়ায় সাংসদ হিসেবে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে তাঁকে। এদিন যদি হাইকোর্ট রাহুল গান্ধীকে নির্দোষ বলে রায় দেয়, তাহলে ফের সাংসদ পদ ফিরে পেতে পারেন রাহুল। আর যদি উচ্চ আদালতও তাঁর সাজা বহাল রাখে, সেই ক্ষেত্রে গুজরাট হাইকোর্টের উচ্চতর বেঞ্চে আবেদন করতে পারবেন রাহুল।
শুক্রবার সকাল ১১টায় এই মামলার রায় ঘোষণা করা কথা। সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারপতি হেমন্ত প্রাচাক। সাংসদ হিসেবে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর, কেরলের ওয়েনাড়ে রাহুল গান্ধী দাবি করেছিলেন, তাঁর কণ্ঠকে দমন করার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ করেছে। তবে তিনি এতে ভীত নন। বর্তমানে, এই মামলা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তাতে আগামী আট বছরের জন্য সাংসদ হতে পারবেন না রাহুল গান্ধী। ২৩ মার্চ, এই ফৌজদারি মানহানির মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন সুরাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচএইচ ভার্মা। রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। এরপর, সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাটের অতিরিক্ত দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু পরিত্রাণ পাননি।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের কোলারে এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “মোদী উপাধীধারী সকলেই কি চোর?” তার এই মন্তব্যে মোদী উপাধীধারী সকলের মানহানি হয়েছে বলে, কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদী। তিনি বলেছিলেন, দেশের ১৩ কোটি মানুষের মানহানি করা হয়েছে। তাঁর দায়ের করা সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা হয়েছিল। গত এপ্রিলে গুজরাট হাইকোর্টে শুনানির সময় রাহুল গান্ধীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেছিলেন, মোদ এবং তেলি-সহ বহু মানুষের পদবী মোদী। রাহুলের বক্তব্যকে এদের সবার সঙ্গে যুক্ত করা অনুচিত। অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ দলের অন্যান্য নেতারা দাবি করেছেন, রাহুল গান্ধী অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের অপমান করেছেন। তাঁর গোটা ওবিসি সমাজের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।