গুরগাঁও: ফুটবল খেলতে ভালবাসে মেয়েটি। স্কুলের ফুটবল দলের সদস্যও। গত ডিসেম্বর মাসে গুরগাঁওয়ে এক টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছিল। আর সেখানেই তিনজন তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই দুর্বিসহ অভিজ্ঞতার কথা নিজের মধ্যেই চেপে রেখেছিল ১৪ বছরের মেয়েটি। অবশেষে গত শনিবার সে তার বাবা-মায়ের কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। বাবা-মা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের অবশ্য এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
মেয়েটির বাবা পেশায় একজন গাড়িচালক। তিনিই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ১৮ ডিসেম্বর তাঁদের গ্রামে একটি ফুটবল ম্যাচ ছিল। তাঁর মেয়েও খেলতে গিয়েছিল। কিন্তু, তাদের দলের ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু অন্যদের খেলা হচ্ছিল। তাই অন্য ম্যাচ দেখার জন্য সে সেখানেই থেকে গিয়েছিল। খেলা দেখতে দেখতে প্রকৃতির ডাক এসেছিল। কিন্তু, তাদের খেলা বাতিল হয়ে যাওয়ায়, তাদের জন্য নির্দিষ্ট শৌচাগারটি ততক্ষণে অন্য দলের দখলে চলে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে সে পাশের এক পাহাড়ের দিকে গিয়েছিল। সেখানে আচমকা তিনটি ছেলে মোটরসাইকেলে করে এসে তাকে ঘিরে ধরেছিল। তারপর তারা তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে করে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে পালা করে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তরা ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডও করেছিল। এই ঘটনার কথা কাউকে বললে ওই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং ষোল বছরের কম বয়সী মহিলার গণধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির উফযুক্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পকসো আইনের ৬ এবং ১৩ নম্বর ধারার অধীনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত তিনজনই নাবালক। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তাদের মধ্যে দুই জন ওই এলাকার এক বেসরকারি স্কুলের ছাত্র। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, তাদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ।