নয়াদিল্লি: দেশের রাজধানীর বুকে নাইট ক্লাব। রাত বাড়লেই নাচাগানা, খানাপিনা হইহুল্লোড় বাড়তে থাকে। নিওন আলোয় গা ভিজিয়ে উদ্দামতার চরমে পৌঁছে যান সকলে। এর আড়ালেই মাদকসেবনও চলে। যে যেমন পারেন মাদকে ডুবে যান নাইটক্লাবের অন্দরে। নাইটক্লাবে মাদকের রমরমার খবর গোপন সূত্র মারফত আসে পুলিশের কাছে। এর পরই চক্র ভাঙতে উদ্যোগী হয় পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে সেখানে হানা দিয়েছিল পুলিশ। হানা দিয়েছে ২৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শরীরে মাদকের উপস্থিতি জানতে ধৃতদের রক্তের নমুনা ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি হানা দিয়ে ওই নাইটক্লাব থেকে বিভিন্ন রকমের নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুগ্রামের কাসা ডানজা নামের এক নাইটক্লাবে ঘটেছে এই ঘটনা।
গুরুগ্রামের উদ্যোগ বিহার ফেজ ৩ এলাকয় রয়েছে নাইটক্লাব। তার মধ্যেই রয়েছে পাব-সহ আমোদ প্রমোদের এলাহি ব্যবস্থা। ওই নাইটক্লাবে শনিবার রাত ২টো নাগাদ হানা দেয় হরিয়ানা পুলিশের একটি দল। সেখানে মাদক সেবনের রমরমার ব্যাপারে খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেই হানা দিয়ে ২৮৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পাশাপাশি ওই নাইটক্লাবের তিন জন মালিক, তিন জন ম্যানেজার এবং অন্য স্টাফ মেম্বারদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। উদ্যোগ বিহারের অ্যাসিট্যান্ট পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার জানিয়েছেন, ওই নাইটক্লাব থেকে হেরোইন, কোকেন, এমডিএমএ, গাঁজা, চরস উদ্ধার করা হয়েছে। ১০.৬৭ গ্রাম চরস, ৬.৩০ গ্রাম গাঁজা সিগারেট, ৬.৩০ গ্রাম করে কোকেন ও হেরোইন এবং ৩.৬৭ গ্রাম এমডিএমএ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার।
হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, গত দুমাস ধরেই তাঁরা এই ক্লাবের উপর নজর রাখছিলেন। ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররাও তথ্য জোগাড় শুরু করেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই হানা দিয়ে সাফল্য পেল পুলিশ। এই নাইটক্লাবেই গত বছর এক যুবতীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। এই নাইট ক্লাবের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ওই যুবতী ও তাঁর বন্ধু হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।