নয়া দিল্লি: শুক্রবার (১৪ অক্টোবর), জ্ঞানব্য়াপী মসজিদের ‘শিব লিঙ্গ’ বলে দাবি করা কাঠামোটির বৈজ্ঞানিক তদন্তের বিষয়ে, হিন্দুপক্ষের করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করল বারাণসী আদালত। জ্ঞানব্যাপী মসজিদের সমীক্ষার সময় সেখানে একটি “শিব লিঙ্গ” পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছিল হিন্দুপক্ষ। ওই স্থানটির কোনও পরিবর্তন ঘটানো যাবে না বলে আদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই আদেশের প্রেক্ষিতেই বৈজ্ঞানিক গবেষণার আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হল বলে জানিয়েছে বারাণসী আদালত।
বারাণসী আদালত বলেছে, “যদি কার্বন ডেটিং বা গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার দিয়ে গবেষণার অনুমতি দেওয়া হয় এবং তা করতে গিয়ে যদি ‘শিব লিঙ্গ’-এর কোনও ক্ষতি হয় তবে, স্থাপত্যটি রক্ষা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের জারি করা আদেশের লঙ্ঘন হবে। এটা সাধারণ জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করতে পারে। শিব লিঙ্গের বয়স এবং প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া অনুপযুক্ত হবে। এই আদেশের মাধ্যমে মামলার সঙ্গে জড়িত প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।”
আদালতে, হিন্দুপক্ষ ‘শিব লিঙ্গ’ বলে দাবি করা কাঠামোটির বয়স নির্ধারণের জন্য বৈজ্ঞানিক তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। হিন্দুপক্ষ কাঠামোটি শিবলিঙ্গ বলে দাবি করলেও, অঞ্জুমান মসজিদ কমিটি দাবি করেছে কাঠামোটিকে একটি ঝর্ণা। অজু করার জন্য মসজিদে সেটি স্থাপন করা হয়েছিল। মসজিদ কমিটির আপত্তি শোনার পরই জেলা দায়রা আদালতের বিচারক একে বিশ্বেশ হিন্দুপক্ষের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। এর আগে গত ৭ অক্টোবর, বারাণসী আদালত এই আবেদনের শুনানি পিছিয়ে দিয়েছিল।
জ্ঞানব্যাপী মসজিদে উপাসনার অনুমতি চেয়ে মামলা করেছিলেন ৫ হিন্দু মহিলা। সেই মামলার ভিত্তিতেই মসজিদটির ভিডিয়ো সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসী আদালত। গত ১৬ মে মসজিদ প্রাঙ্গনে একটি শিব লিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছিল হিন্দুপক্ষ। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে শিবলিঙ্গ বলে দাবি করা কাঠামো এবং সংলগ্ন এলাকাটি ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তবে, মুসলিমদের যাতে মসজিদে নামাজ পড়তে এবং ধর্মীয় আচার পালন করতে অসুবিধা না হয়, সেটাও নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।