Hailstorm: টানা শিলাবৃষ্টিতে বিধ্বস্ত অসমের ডিব্রুগড়, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৭টি গ্রামের দুই শতাধিক বাড়ি

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Dec 27, 2022 | 8:16 PM

প্রবল শিলাবৃষ্টির একটি ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাস্তাঘাট, এমনকি গাছপালাও সাদা বরফে ভর্তি।

Hailstorm: টানা শিলাবৃষ্টিতে বিধ্বস্ত অসমের ডিব্রুগড়, ক্ষতিগ্রস্ত ৩৭টি গ্রামের দুই শতাধিক বাড়ি
শিলাবৃষ্টির জেরে রাস্তাঘাট হয়ে গিয়েছে সাদা। ছবি: টুইটার

Follow Us

ডিব্রুগড়: কনকনে ঠান্ডায় ইতিমধ্যে জবুথবু উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এর মধ্যে দোসর শিলাবৃষ্টি। টানা শিলাবৃষ্টিতে বিধ্বস্ত অসমের ডিব্রুগড়। সোমবার রাতের পর মঙ্গলবার সকালেও ডিব্রুগড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি হয়। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৭টি গ্রামের দুই শতাধিক বাড়ি। যদিও এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অবশ্য শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাত থেকে ডিব্রুগড়ের তিংখোং, নাহারকাটিয়া, মোরান সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। পাথরের মতো বড়-বড় শিল পড়তে থাকে। এদিন সকালেও তার বিরাম হয়নি। টানা শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গ্রামের পর গ্রাম। বিশেষত, কাঁচা বাড়িগুলি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডিব্রুগড় জেলা প্রশাসনের এক সিনিয়র আধিকারিক বলেন, শিলাবৃষ্টিতে জেলাজুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মোরান মহকুমার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানা গিয়েছে, ৩৭টি গ্রামের ২১০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শিলাবৃষ্টিতে মোরান এবং তিংখাং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে এদিন সকালে টুইটও করেছেন তিনি। টুইট-বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “শিলাবৃষ্টির জেরে মোরান এবং তিংখাং চক্রের অন্তর্গত বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ জেনে ঠিক কত ক্ষতি হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে পাশে থাকার ব্যাপারে সরকার যতটা সম্ভব ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করবে।”

প্রবল শিলাবৃষ্টির একটি ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাস্তাঘাট, এমনকি গাছপালাও সাদা বরফে ভর্তি। ভিডিয়োটি একঝলকে দেখলে বোঝা যাবে না, শিলাবৃষ্টি হয়েছে নাকি তুষারপাত হয়েছে।

সোমবার গভীর রাত থেকে এদিন সকাল পর্যন্ত শিলাবৃষ্টিতেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর উপর আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে আবার শিলাবৃষ্টি হলে কী পরিস্থিতি হবে, তা ভেবে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।

Next Article