Halla Bol of Congress : রামলীলা ময়দানে রাহুলের ‘রিব্র্যান্ডিং’, ‘আপত্তি’ সত্ত্বেও কংগ্রেসের মসনদে রাহুলই? ইঙ্গিত অধীরের

Halla Bol of Congress : কংগ্রেসের তরফে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রবিবার হাল্লা বোল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেই মঞ্চ থেকে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।

Halla Bol of Congress : রামলীলা ময়দানে রাহুলের ‘রিব্র্যান্ডিং’, ‘আপত্তি’ সত্ত্বেও কংগ্রেসের মসনদে রাহুলই? ইঙ্গিত অধীরের
ছবি সৌজন্যে : টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2022 | 7:07 PM

নয়া দিল্লি : ২০১৯ সালে কংগ্রেসের সভাপতি পদ ছেড়েছেন রাহুল গান্ধী। তারপর থেকে বিগত তিনবছর ধরে দলের কোনও স্থায়ী সভাপতি নেই। অন্তরবর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাহুলের মা সনিয়া গান্ধী। দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তবে কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়, দলের সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই নেন রাহুল গান্ধী। বিভিন্ন বৈঠকেও রাহুলের মতামত যে অগ্রাধিকার পায়, তা দেখেন সবাই। তবে দলের সভাপতি পদে ফিরতে নারাজ রাহুল। তবে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গলায় আজ শোনা গেল রাহুল বন্দনা। দলের সভাপতি পদে যে রাহুলকেই দেখতে চান, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান সাংসদ। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদেরও মত, আজকের এই হাল্লা বোল কর্মসূচি কতকটা রাহুলকে নতুন করে পরিবেশন করার একটি প্রচেষ্টা ছিল কংগ্রেসের তরফে।

সনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আজকের সমাবেশে ছিলেন না। এক মাত্র গান্ধী হিসেবে আজকের সমাবেশে ছিলেন রাহুল গান্ধী। সভাস্থলে সিংহভাগ পোস্টারেই আজ ছিল রাহুলের ছবি। যেন রাহুলকে নতুন করে রাজনৈতিক ময়দানে পদার্পণ করানোর জন্যই তৈরি হয়েছিল এই মঞ্চ। বিগতদিনে একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী প্রচারে গিয়েছেন। তবে অসম থেকে কেরল, সব জায়গাতেই ব্যর্থ কংগ্রেস। বাংলায় কংগ্রেসের বেহাল দশা বুঝে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে সেভাবে দেখা পাওয়া যায়নি তাঁর। মনে করা হয়েছিল, কোনও এক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ভাল ফল করলেই সেটা হয়ে দাঁড়াবে রাহুলের ফিরে আসার মঞ্চ। তবে সেই কৃতিত্ব নিজের নামে করতে পারেননি রাগা। কারণ কংগ্রেস ব্যর্থ। তবে এবার মূল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের মতো ইস্যুকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসের ব্যাটন ফের রাহুলের হাতে ফেরাতে চাইছেন গান্ধী ঘনিষ্ঠরা।

জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারা একে একে কংগ্রেস ছাড়ছেন। যাঁরা দলে আছেন, তাঁরাও গান্ধী ঘনিষ্ঠদের চাপে কোণঠাসা। এই আবহে আজ হাল্লা বোলের সমাবেশ থেকে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা রাহুল গান্ধীকে সভাপতি হিসেবে চাই…আমরা পোস্টার দেখতে পাচ্ছি যাতে লেখা – রাহুল গান্ধীকে সভাপতি হিসেবে চাই। আজ রাহুল গান্ধীর ভাষণের অপেক্ষায় সবাই।’ আজ গুলাম নবি আজাদের নাম না নিয়ে অধীর বলেন, ‘কংগ্রেসে আসা বা কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে যাওয়া সহজ। তবে দলে থাকতে হলে সংকল্পের প্রয়োজন। যে কেউ আসতে পারে এবং যেতে পারে। তবে কংগ্রেস একটি নদীর মতো। এই দল তার গন্তব্যে পৌঁছবেই।’ প্রসঙ্গত, গুলাম নবি আজাদ রাহুলের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই দল ছেড়েছিলেন। সনিয়াকে লেখা তাঁর পদত্যাগপত্রের প্রতিটি লাইনেই প্রায় রাহুলের প্রতি আজাদের বিতৃষ্ণা ফুটে উঠেছিল। আর কংগ্রেস ত্যাগের পর আজকেই প্রথম জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন আজাদ। আর সেদিনই রাহুলকে নতুন ভাবে পরিবেশন করার চেষ্টা কংগ্রেসের।