Kashmir Files Controversy: ‘হিন্দু পণ্ডিত নয়, মুসলিম, শিখদের সঙ্গেও…’ কেন নিজেকে ফাঁসির মঞ্চে ঝোলানোর কথা বলেলেন ফারুখ?
The Kashmir Files: ওই হিন্দি ছবিতে কী ভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল তা দেখান হয়েছে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশানাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুখ আবদুল্লা।
নয়া দিল্লি: একটি ছবি মুক্তির পর থেকেই দেশের রাজনীতিতে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। ছবির বিষয় এবং তাঁর সত্যতা নিয়ে রাজনৈতিক মহল আড়াআড়ি বিভক্ত। কেউ কেউ বলছেন ছবিতে যা দেখান হয়েছে তার সবটাই ধ্রব সত্য। অনেকের আবার দাবি এই ছবিতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদেরকে নিয়ে সত্য বিকৃত করা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে বেশ কিছু বিষয় সকলের কাছে উপস্থাপিত করা হয়েছে। তবে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narednra Modi) মুখে এই ছবির ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে। এমনকী ছবির কলাকুশলীদের সঙ্গেও তিনি দেখা করে কথা বলেছেন। ঠিকই ভেবেছেন সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) নিয়ে কথা হচ্ছে।
ওই হিন্দি ছবিতে কী ভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল তা দেখান হয়েছে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশানাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুখ আবদুল্লা। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯০ সালে কাশ্মীরের ওই নক্কারজনক ঘটনার জন্য তিনি যদি কোনওভাবেই দায়ী হন তবে দেশের যে কোনও জায়াগায় তাঁকে যেন ফাঁসি দেওয়া হয়। ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সত্য তখনই সকলের সামনে আসবে যখন কোনও নিরপেক্ষ বিচারপতি বা কমিটি ওই ঘটনার তদন্ত করবে। তখনই জানা সম্ভব হবে যে এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী। যদি ফারুখ আবদুল্লা কোনওভাবে জড়িত থাকে তবে তাঁকে যেন দেশের যেকোনও জায়গায় ফাঁসি দেওয়া হয়। আমি তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি কিন্তু তবে যারা দোষী নয় তাদের দোষারোপ করতে রাজি নয়।”
ওই সাক্ষাৎকারেই তিনি বলেন, “আমার মনে হয়না কোনওভাবেই আমি এই ঘটনার জন্য দায়ী। যদি কেউ সেই সময়ের আসল সত্যটা জানতে চান তবে তৎকালীন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান বা সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা কেরলে বর্তমান গভর্নর আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে কথা বলা উচিৎ।” ফারুখ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, সেই সময় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গেই নয় মুসলিম ও শিখদের ওপরও অত্যাচর করা হয়েছে। কোনও একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে তদন্তভার দিয়ে সত্য সকলের সামনে তুলে ধরা উচিৎ। এই ছবির একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য রয়েছে। এই ছবির মাধ্যমে কাশ্মীরে হৃদয় আহত হয়েছে। ফারুখের মন্তব্য প্রসঙ্গে পাল্টা কোনও মন্তব্য আসে কী না সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।