নয়া দিল্লি : ডিসেম্বরেই নির্বাচন হওয়ার কথা মোদী-শাহের রাজ্য গুজরাটে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন ঘিরে নিজেদের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। এই আবহে ফের প্রকাশ্য়ে এল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব। কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হলেন কংগ্রেসের গুজরাটের কার্যনিবাহী সভাপতি হার্দিক প্যাটেল। প্রকাশ্যে রীতিমতো কড়া ভাষায় তোপ দাগেন তিনি। তিনি একটি জাতীয় সংবাদ মাধ্য়মের কাছে বলেছেন, “কংগ্রেসে আমার অবস্থা অনেকটা সেই নতুন বরের মতো যাঁকে জোর করে নাসবন্দি করানো হয়েছে।”
তিনি কংগ্রেসের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তাঁকে কোণঠাসা করার অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁকে কংগ্রেসের কোনও বৈঠকে ডাকা হয় না। দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে আলোচনাও করা হয় না বলে তাঁর অভিযোগ। এদিকে সম্প্রতি তাঁর সম্প্রদায়ের একজন প্রভাবশালী নেতা নরেশ প্যাটেল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু দলের মধ্যে সেই নিয়ে এখনও টানাপোড়েন চলছে। দলের এই পদক্ষেপে হার্দিক কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তিনি বলেছেন, “২০১৭ সালের গুজরাট বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছিল পাতিদার সমাজ। সেই সমাজের নেতার প্রতি দলের এহেন আচরণ কাম্য নয়।”
কংগ্রেসের সমোলোচনার পাশাপাশি এদিন বিজেপির প্রশংসাও করেছেন কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল। এদিকে হার্দিকের এই ধরনের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়তে পারে কংগ্রেস। অন্তত এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। উল্লেখ্য, গত পাঁচ বিধানসভা নির্বাচনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি কংগ্রেস। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসের কয়েকটি আসন পেতে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে। এদিকে কংগ্রেসের দখলে থাকা ঘাঁটিগুলিও হাতছাড়া হয়েছে। যেমনটা দেখা গিয়েছে পঞ্জাবে। পঞ্জাবে নির্বাচনের আগেও কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিলে। অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ নিভু নিভু হয়ে আসছে। জমি হারাচ্ছে এক একটা রাজ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে গুজরাতের কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য কংগ্রেসের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
হার্দিক প্যাটেল কে?
২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন হার্দিক প্যাটেল। পাতিদার আন্দোলনের নেতা ছিলেন হার্দিক প্যাটেল। ২০১৫ সালে এই আন্দোলনের সময় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তিনি। সদ্য সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২০২০ সালে তিনি গুজরাট কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।
আরও পড়ুন : Amit Shah: বিধানসভা ভোটের পর প্রথম বঙ্গ সফর স্থগিত করলেন অমিত শাহ! কারণ কী?