আহমেদাবাদ: জল্পনা ছিলই, রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে একমঞ্চে থাকার কয়েকদিন পর গতকালই কংগ্রেস ত্যাগের ঘোষণা করেছিলেন গুজরাটের (Gujarat) কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel)। পাতিদার নেতার এই দলত্যাগের ঘোষণার পর প্রত্যাশিতভাবে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটল গুজরাট কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি জগদীশ ঠাকর বৃহস্পতিবার হার্দিকের দলের ত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, হার্দিকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার যে মামলা রয়েছে, তার জন্য তাঁকে জেলে যেতে হতে পারে। সেই কারণে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই পাতিদার নেতা দলত্যাগ করেছেন। হার্দিক দলত্যাগের পর কী করবেন, এই নিয়ে গোটা গুজরাটের রাজনীতিতে জল্পনা চলছে। কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, হার্দিক সম্ভবত বিজেপিতেই যোগ দেবেন। কংগ্রেস ত্যাগের পর হার্দিক প্যাটেল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, দলের কার্যকরী সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও দলে তাঁকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর অভিযোগ ছিল, কংগ্রেসের কোনও নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নেই, সেই কারণে গুজরাট কংগ্রেস ‘জাত-পাতের রাজনীতি’ করছে। এর উত্তরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হার্দিককে একহাত নিয়েছেন।
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগেই গতকালই কংগ্রেস থেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেছিলেন হার্দিক প্যাটেল। দলত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরই কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশে মারাত্মক অভিযোগ করেছিলেন এই পাতিদার নেতা। হার্দিকের দাবি, কংগ্রেস নেতাদের মোবাইল ফোনের দিকে নজর অনেক বেশি এবং কংগ্রেস নেতারা দলীয় কাজের তুলনায় চিকেন স্যান্ডউইচের দিকে মন দিতেই বেশি পছন্দ করেন। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদানের পরে ২০২০ সালে তাঁকে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
গুজরাটের কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, হার্দিক সাংবাদিক বৈঠকে যা বলেছেন, তা তাঁর পদত্যাগপত্রেই লেখা রয়েছে, এবং শাসকদল বিজপি এই ঘটনার পিছনে অনুঘটকের ভূমিকার পালন করেছে। উল্লেখ্য, পাতিদার আন্দোলন থেকে হার্দিকের উত্থান। তাঁর বিরুদ্ধে দেশ্রদ্রোহিতার মামলা সহ ২৫ টিরও বেশি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। হার্দিক প্যাটেল আগামী দিনে বিজেপিতে যোগ দেন কি না, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।