বাহাদুরগড়: লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রকাশ্যে রাস্তায় খুন নেতা। রবিবার হরিয়ানা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন বিধায়ক নাফে সিং রাঠিকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। গুলিতে ঝাঝরা করে দেওয়া হয় তাঁর গাড়ি। প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে গাড়িতে থাকা আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও দুইজন। হামলার পিছনে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং জড়িত রয়েছে বলেই সন্দেহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন হরিয়ানায় ঝাজ্জরে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন আইএনএলডি দলের প্রধান নাফে সিং রাঠি। বাহাদুরগড়ে আচমকাই তাদের পথ আটকে দাঁড়ায় একটি হুন্ডাই আই ১০ গাড়ি। এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় নাফের এসইউভি গাড়ি। হামলার পরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় আততায়ীরা।
পথচারীরাই গুলিবিদ্ধ আইএনএলডি নেতাকে ব্রাহ্ম শক্তি সঞ্জীবনী হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঝাজ্জরের পুলিশ সুপার অর্পিত জৈন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ও এসটিএফ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
সূত্রের খবর, নাফের হত্যার পিছনে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের হাত থাকতে পারে। কুখ্যাত ওই গ্যাংস্টারের দলের পেশাদার খুনিদের ব্যবহার করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। খুনের কারণ সম্পর্কে জানা না গেলেও, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্পত্তির বিবাদের জেরেই হয়তো খুন করা হয়েছে নাফেকে। বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁর কাছে হুমকি আসছিল।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের নাম একাধিক খুনের মামলায় উঠে এসেছে। এর আগে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সুখদুল সিং গিল ওরফে সুখা দুনাকে হত্যার মামলায় লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম উঠে এসেছিল। রাষ্ট্রীয় রাজপুত কার্ণি সেনার প্রধান সুখদেব সিং গোগামোদি ও পঞ্জাবী সঙ্গীতশিল্পী সিধু মুসেওয়ালার খুনের মামলাতেও লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম উঠে এসেছিল।