বেঙ্গালুরু: রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় হাতছাড়া হওয়ার পর, কংগ্রেসের শাসনে রয়েছে ভারতের মাত্র তিনটি রাজ্য – দক্ষিণে সদ্য জেতা তেলঙ্গানা ও কর্নাটক এবং উত্তরে হিমাচল প্রদেশ। খুব শিগগিরই কি এর মধ্যে একটি খোয়াতে চলেছে কংগ্রেস? দক্ষিণেও ফুটবে পদ্ম? জনতা দল (সেকুলার) নেতা তথা কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর দাবি সত্যি হলে, সিদ্দারামাইয়া সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী ৫০-৬০ জন বিধায়ক নিয়ে, খুব তাড়াতাড়ি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। জেডিএস নেতার দাবি, কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারে সবকিছু ঠিকঠাক চলথে না।
কুমারস্বামী বলেছেন, “একজন মন্ত্রী ৫০-৬০ জন কংগ্রেস বিধায়কের সমর্থন নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কর্নাটক সরকারের শীঘ্রই পতন ঘটতে পারে। যে কোনও কিছুই ঘটতে পারে। তাদের কারও মধ্যে সততা এবং আনুগত্য বলে কিছু অবশিষ্ট নেই।” কে সেই মন্ত্রী? নাম জানতে চাওয়া হলে কুমারস্বামী বলেছেন, “কোনও ছোট নেতার কাছ থেকে এই ধরনের দুঃসাহসী কাজ আশা করা যায় না। প্রভাবশালী লোকেরাই এই ধরনের কাজ করতে পারেন।”
কুমারস্বামীর এই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সোমবার তিনি বলেছেন, “জল থেকে মাছকে তুলে রেখে দিলে যেমন করে, বিজেপি এবং জেডি(এস) সেই রকমভাবে লড়াই করছে। তারা মায়ার জগতে রয়েছে। আমরা কী করতে পারি?”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কংগ্রেসের সমর্থনেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী। পরে অবশ্য দুই দলের মধ্যে ব্যবধান শুধুই বেড়েছে। সম্প্রতি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য কর্নাটকে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে জেডি(এস)। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে বিজেপির বিপুল ব্যবধানে জয়ের পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন কুমারস্বামী।