নয়া দিল্লি: করোনা পরীক্ষা (COVID Test) থেকে নিস্তার পেল শিশুরা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, এ বার থেকে বিদেশ যাত্রার জন্য বা বিদেশ থেকে আগত শিশুদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে না। তবে যদি শিশুদের মধ্যে করোনার (COVID-19) উপসর্গ স্পষ্ট হয়, তবে সে ক্ষেত্রে বিধি (Protocol) মেনেই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, “পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। যাত্রার আগে বা গন্তব্যে পৌঁছনোর পর তাদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে না। তবে কোনও শিশুর মধ্যে যদি করোনার উপসর্গ দেখা যায়, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করোনা পরীক্ষা ও একান্তবাসে (quarantine) থাকতে হবে।””
বিশ্বজুড়ে যেহেতু টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে এবং একাধিক দেশে শিশুদেরও করোনা টিকাকরণ শুরু হয়েছে, সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “বিশ্বজুড়েই করোনা সংক্রমণের দাপট কমতে শুরু করেছে। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই পাঁচ বছরের কম বয়সীদের যাত্রার আগে ও গন্তব্যে পৌঁছনোর পর করোনা পরীক্ষা করানো থেকে ছাড় দেওয়া হল। তবে করোনা ভাইরাস যেহেতু ক্রমাগত রূপ পরিবর্তন করছে, তাই বিশেষ সতর্কতা বজায় রাখতে হবে।”
১২ নভেম্বর থেকেই এই নতুন নির্দেশিকা চালু করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। সংশোধিত নির্দেশিকায় একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, করোনা টিকা নেওয়ার ১৫ দিন অন্তত পূর্ণ হতে হবে। তারপরই করোনা পরীক্ষা করা উচিত।
যাত্রার আগে ও গন্তব্যে পৌঁছনোর পর বিমানবন্দরে যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, সমস্ত যাত্রীদের তাপ নিরীক্ষণের (Thermal Screening) মতো নির্দেশগুলি এখনও কার্যকর থাকবে বলেই জানানো হয়েছে। যদি কোনও ব্য়ক্তি করোনা আক্রান্ত হন বা করোনা আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হয়, তবে তার পাশের আসনগুলি ছাড়াও সামনের ও পিছনের তিনটি সারির সমস্ত আসনের যাত্রীদের চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বিশেষ সতর্কতা, প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সমস্ত যাত্রীদেরই বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৫০ জন। শুক্রবার সেই সংখ্যাটা ছিল ১২ হাজার ৫১৬ জন। এদিকে, করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা কমে গিয়েছে। বিগত একদিনে দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ৪০৩ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৩৮ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৩ জন।
আরও পড়ুন: Black Fungus: রক্ষা পাচ্ছে না ডেঙ্গু আক্রান্তরাও, ফের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের থাবা রাজধানীতে