SSC: নতুন করে পরীক্ষা? ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শেষ শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি

Jyotirmoy Karmokar | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jan 27, 2025 | 6:01 PM

SSC: আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রস্তাব দেন, আবারও পরীক্ষা নেওয়া হোক। আর তার মাধ্যমেই যাঁরা যোগ্য, তাঁরা স্পষ্টভাবে সামনে চলে আসবেন। তাঁর আবেদন, ২০১৬ সালে পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গিয়ে থাকলেও তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক।

SSC: নতুন করে পরীক্ষা? ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শেষ শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি
সুপ্রিম কোর্ট
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

সুমন মহাপাত্র

নয়াদিল্লি: যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথকীকরণ কীভাবে সম্ভব? ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় শুনানি শেষের দোরগড়ায় দাঁড়িয়ে উঠছে এই প্রশ্ন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে হয় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি। এদিন মামলাকারীদের বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য বিস্তারিতভাবে শোনেন প্রধান বিচাররপতি।

মূল মামলাকারীদের হয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিমরা। মামলার শুনানিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রস্তাব দেন, আবারও পরীক্ষা নেওয়া হোক। আর তার মাধ্যমেই যাঁরা যোগ্য, তাঁরা স্পষ্টভাবে সামনে চলে আসবেন। তাঁর আবেদন, ২০১৬ সালে পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের ফের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পেরিয়ে গিয়ে থাকলেও তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, যোগ্য-অযোগ্য পৃথক করা অসম্ভব।

এই খবরটিও পড়ুন

কিন্তু, যাঁরা যোগ্য প্রার্থী বলে দাবি করছেন, তাঁদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা চাকরি করছেন। সরকারের ব্যর্থতার জন্য আবার নতুন করে তাঁদের পরীক্ষায় বসানো অমানবিক পদক্ষেপ হবে।

এদিন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম নিজের সওয়ালে বলেন, “প‍্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৪ বার কাউন্সেলিং হয়েছে। যা নিয়ম বিরুদ্ধ।” তিনি বলেন, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বেনিয়মে ভর্তি। নম্বরের বিভাজন ছাড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী সওয়াল করেন, ৫০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হোক এসএসসি-কে।

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন এই মামলার শুনানি শেষ করবেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্য সরকার ও এসএসসি-র বক্তব্য শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর রায় শোনাবে সুপ্রিম কোর্ট। ২৬ হাজার শিক্ষকের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ এপ্রিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করে। ফলে চাকরি যায় প্রায় ২৬ হাজার জনের। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে।