Anubrata Mondal: দিল্লি যাত্রা আটকাতে মরিয়া কেষ্ট, পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বরে

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 25, 2022 | 1:07 PM

Anubrata Mondal: এর আগে গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে টানা ৫ ঘণ্টা জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

Anubrata Mondal: দিল্লি যাত্রা আটকাতে মরিয়া কেষ্ট, পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বরে
অনুব্রত মণ্ডল

Follow Us

দিল্লি: দেহরক্ষী সায়গল হোসেন থেকে গরু পাচারকাণ্ডের কিংপিন এনামুল হক, প্রত্যেকেই দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। এবার অনুব্রত মণ্ডলকেও সেখানে নিয়ে যেতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তবে সেই দিল্লি যাত্রা আটকাতে মরিয়া কেষ্ট। ইডির উদ্যোগ ভেস্তে দিতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছেন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানির কথা। কিন্তু আইনি জটিলতায় দিল্লি হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রতর সেই আবেদনের শুনানি। পরবর্তী শুনানি হতে পারে ১ ডিসেম্বর।

এর আগে গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে টানা ৫ ঘণ্টা জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় সেদিনই কেষ্টকে সোন অ্যারেস্ট করে ইডি। এরপরই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার আবেদন জানান ইডির আধিকারিকরা। এই খবরের পর আসানসোল সংশোধনাগারে বসে প্রমাদ গুনতে শুরু করেন কেষ্ট। মঙ্গলবার দুপুরে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ইডির আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। ঠিক তার আগেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। দুঁদে আইনজীবী কপিল সিব্বাল তাঁর পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এটি রাজ্যের মামলা, আদালত কীভাবে হস্তক্ষেপ করবে?

ইতিমধ্যে সুকন্যাকে দিল্লিতে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। সূত্রের খবর, সেখানে অনুব্রত সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান অফিসাররা। শুধু কেষ্টর দেহরক্ষী সায়গল নন, দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন গরু পাচার চক্রের কিংপিন এনামুল হকও। কেষ্ট সেখানে পৌঁছলেই ইডির ত্রিভুজ কমপ্লিট। বিপদ যে ষোলোআনা তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।

শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে বারবার জামিনের আবেদন করেছেন। কিন্তু, এজেন্সির প্রভাবশালী তত্ত্বে, অনুব্রতর সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালতে। গত কয়েক মাসে সময় যত গড়িয়েছে, কেষ্ট মণ্ডলের চাপ ক্রমশই বেড়েছে। সিবিআইয়ের হাত থেকে ইডির হাতে পড়েছে কেষ্ট। এখন দেখার, দিল্লি হাইকোর্ট কেষ্টর চিন্তা কমায় না উল্টে বাড়ায়।

Next Article