AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anurag Thakur-Rahul Gandhi: জাতি সুমারির তরজায় ‘জাত’ নিয়েই প্রশ্ন! তুমুল তর্ক অনুরাগ-রাহুলের, টেনে আনা হল মহাভারতও

Parliament: বিজেপি সাংসদ বলেন, "রাহুলজি, আপনি হালুয়া নিয়ে বলছেন। বোফর্স দুর্নীতি থেকে হালুয়া কে খেয়েছিল? অন্তরীক্ষ দিবস দুর্নীতি, কমনওয়েলথ গেমস, ন্য়াশনাল হেরাল্ড, সাবমেরিন, ২জি স্ক্যাম, কয়লা, ইউরিয়া ও পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি থেকে কারা লাভ করেছিল? রাহুলজি, ওই হালুয়াটা কি মিষ্টি ছিল নাকি বিস্বাদ?"

Anurag Thakur-Rahul Gandhi: জাতি সুমারির তরজায় 'জাত' নিয়েই প্রশ্ন! তুমুল তর্ক অনুরাগ-রাহুলের, টেনে আনা হল মহাভারতও
সংসদে তুমুল তরজা রাহুল গান্ধী-অনুরাগ ঠাকুরের মধ্যে।Image Credit: PTI
| Updated on: Jul 31, 2024 | 6:40 AM
Share

নয়া দিল্লি: লোকসভায় ধুন্ধুমার। রাজনৈতিক বচসা পৌঁছে গেল ব্যক্তিগত আক্রমণে। বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্যে শোরগোল। তুমুল তর্ক বাধল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সঙ্গে। ময়দানে নামেন অখিলেশ যাদবও।

মঙ্গলবার লোকসভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জাতি সুমারির দাবি ঘিরে। কংগ্রেস সাংসদ বাজেট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করছিলেন। বাজেটের আগে হওয়া হালুয়া অনুষ্ঠান নিয়েও কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন রাহুল। তার আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতে ওঠেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর।

বিজেপি সাংসদ বলেন, “রাহুলজি, আপনি হালুয়া নিয়ে বলছেন। বোফর্স দুর্নীতি থেকে হালুয়া কে খেয়েছিল? অন্তরীক্ষ দিবস দুর্নীতি, কমনওয়েলথ গেমস, ন্য়াশনাল হেরাল্ড, সাবমেরিন, ২জি স্ক্যাম, কয়লা, ইউরিয়া ও পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি থেকে কারা লাভ করেছিল? রাহুলজি, ওই হালুয়াটা কি মিষ্টি ছিল নাকি বিস্বাদ? কিছুজন ওবিসিদের নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু তাদের কাছে ওবিসির অর্থ হল ব্রাদার ইন ল কমিশন। এই দল পিছিয়ে পড়া শ্রেণিদের নিয়ে কথা বলবে?”

আক্রমণ আরও এক মাত্রা বাড়িয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “এই দলের শাহজাদা আমাদের জ্ঞান দেবে? ওঁর প্রথমে বোঝা উচিত এলওপি-র অর্থ কী। এর অর্থ লিডার অব অপোজিশন, লিডার অব প্রোপাগান্ডা নয়। ওঁর মিথ্যা বলা বন্ধ করা উচিত। ওবিসি আর জাতি সুমারি নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, যার নিজের জাতই জানা নেই, সে সুমারি নিয়ে কথা বলছে?

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায়। প্রতিবাদে সুর চড়ায় বিরোধী সাংসদরা। রাহুল গান্ধীকে অপমান করেছেন অনুরাগ ঠাকুর, তাঁকে বলার সুযোগ দেওয়া হোক-এই দাবি তোলা হয়।

এরপরই রাহুল গান্ধী পাল্টা জবাবে বলেন, “আপনি যত ইচ্ছা আমায় অপমান করুন, প্রতিদিন করুন। কিন্তু ভুলে যাবেন না আমরা (বিরোধীরা) সংসদে এই বিল পাশ করাবোই।”

ট্রেজারি বেঞ্চ থেকেও এক সাংসদ চিৎকার করে উঠলে, বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “আমি তো কারোর নাম নিইনি, কিন্তু দেখুন কে জবাব দিতে উঠে দাঁড়াল।

পরে ফের বলার সুযোগ পেতেই রাহুল গান্ধী বলেন, “যারা দলিত, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষদের হয়ে কথা বলেন, তাদের সকলকে অপমান করা হল। অনুরাগ ঠাকুর আমায় অপমান করলেন, অবমাননাকর মন্তব্য করলেন, কিন্তু আমি ওঁর থেকে ক্ষমা প্রার্থনা চাই না। আমি নিজের লড়াই লড়ি এবং তাই-ই করব। অর্জুন যেমন শুধু মাছের চোখ দেখেছিল, আমিও শুধু নিজের লক্ষ্য দেখতে পাচ্ছি-জাতিসুমারি।”

সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা সাংসদ অখিলেশ যাদবও রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, “কীভাবে কারোর জাত নিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে সংসদে? কারোর জাত কী, তা জানতে চাইতে পারেন না আপনি।”