AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

China in Pangong Lake: প্যাংগংয়ে ড্রাগনের নজরদারি, চুপি চুপি কংক্রিটের ব্রিজও বানিয়ে ফেলেছে চিন!

Chinese Army: চিন প্যাংগং লেকের ওপর চারশো মিটার লম্বা পাকাপোক্ত কংক্রিটের সেতু বানিয়ে ফেলেছে। তার ওপর দিয়ে লালফৌজের সামরিক যানবাহন যাতায়াতও করছে। যেখানে সেতু তৈরি হয়েছে সেই জায়গাটার নাম খুরনাক। উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকা ব্রিজ তৈরির জন্যই আগেকার কাঠের সেতুটাকে অস্থায়ী কাঠামো হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

China in Pangong Lake: প্যাংগংয়ে ড্রাগনের নজরদারি, চুপি চুপি কংক্রিটের ব্রিজও বানিয়ে ফেলেছে চিন!
| Updated on: Aug 01, 2024 | 12:20 PM
Share

লাদাখের দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করছে চিন। আর এই কারণেই প্যাংগং লেকের গায়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিরাট বড় সেনা পরিকাঠামো তৈরি করছে তারা। যদিও ব্ল্যাকস্কাই নামে এক মার্কিন সংস্থার তোলা উপগ্রহ চিত্র লালফৌজের সেই পরিকল্পনা ফাঁস করে দিয়েছে। তবে মাস শেষ হওয়ার আগেই চিনের আরও এক বড় পরিকল্পনা সামনে চলে এল।

২০২০ সালে গালওয়ানকাণ্ডের কথা মনে আছে তো? ২০২২ সালে প্রথম স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়ে যে প্যাংগং লেকের কম চওড়া অংশ খুরনাক-এ কাঠ ও ইস্পাতের সেতু বানাচ্ছে চিন। এবার মার্কিন সংস্থা ম্যাক্সার টেকনলজিস-এর উপগ্রহ চিত্র দেখাল, ওটা শুধুই ট্রেলার ছিল। চিন প্যাংগং লেকের ওপর চারশো মিটার লম্বা পাকাপোক্ত কংক্রিটের সেতু বানিয়ে ফেলেছে। তার ওপর দিয়ে লালফৌজের সামরিক যানবাহন যাতায়াতও করছে। যেখানে সেতু তৈরি হয়েছে সেই জায়গাটার নাম খুরনাক। উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকা ব্রিজ তৈরির জন্যই আগেকার কাঠের সেতুটাকে অস্থায়ী কাঠামো হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ভবিষ্যতে ওই এলাকাতে ট্যাঙ্ক-সহ সবরকম ভারী সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েনের উদ্দেশ্যেই নতুন কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চাইনিজ আর্মির মুভমেন্ট আরও সহজ হবে। প্যাংগং লেকে থাকা চিনের নানা সেনা শিবিরের মধ্যে দূরত্বও প্রায় ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার কমে যাবে। সেতুর কাছেই চিন গোলাবারুদ মজুত করার জায়গা এবং মিসাইল লঞ্চিং প্যাডও তৈরি করে ফেলেছে বলে ম্যাক্সারের উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে।

আগে ব্ল্যাকস্কাইয়ের স্যাটেলাইট ইমেজ দেখিয়েছিল, সীমান্তের খুব কাছে আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কার তৈরি করে জ্বালানি-বিস্ফোরক মজুত করেছে লালফৌজ। মোতায়েন করা হয়েছে ভারি, সশস্ত্র সেনা যান। প্যাংগং লেকের উত্তর দিকে পাহাড়ের মাঝে সারজাপ ঘাঁটিকে ওই অঞ্চলের সেনা হেডকোয়ার্টার হিসাবে ব্যবহার করছে লালফৌজ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে যার দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। সারজাপ ঘাঁটিতে একাধিক বড়সড় ভবন তৈরি করেছে পিএলএ। সেনাঘাঁটির সঙ্গে সড়ক ও সুড়ঙ্গ পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে আছে লালফৌজের গোলন্দাজ বাহিনীও। এই সামরিক ঘাঁটি গালওয়ান থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে। ফলে বুঝতেই পারছেন যে চিন্তা একটা থাকেই।

যদিও ভারত এখনও এই নিয়ে অফিসিয়ালি মুখ খোলেনি। তবে এটা পরিষ্কার যে সামনে সীমান্ত আলোচনার কথা বলে পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। শুধু পূর্ব লাদাখ নয়, লাদাখ থেকে সিকিম, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সীমান্ত সব এলাকাতেই আগ্রাসী ভূমিকায় রয়েছে ভিন। তবে তৈরি আছে আমাদের দেশও। ঢিল মারলে পাটকেলও খেতে হবে চিনকে।