Karnataka Rain: বন্যার শঙ্কায় বন্ধ স্কুল-কলেজ, আগামী কয়েক ঘণ্টাতেই অতি ভারী বৃষ্টিতে ভাসতে পারে উপকূলবর্তী এলাকা

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 07, 2022 | 12:40 PM

Karnataka Rain: রাজ্যে ভারী বৃষ্টি শুরু হতেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। বন্যাপ্রবণ এলাকা, যেগুলি সহজেই জলমগ্ন হয়ে যায়, সেই জায়গাগুলি পরিদর্শন করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।

Karnataka Rain: বন্যার শঙ্কায় বন্ধ স্কুল-কলেজ, আগামী কয়েক ঘণ্টাতেই অতি ভারী বৃষ্টিতে ভাসতে পারে উপকূলবর্তী এলাকা
ভারী বৃষ্টির জেরে কর্নাটকের রাস্তায় নেমেছে ধস।

Follow Us

বেঙ্গালুরু: বর্ষা প্রবেশ করতেই জলে ভাসতে শুরু করেছে একের পর এক রাজ্য। মহারাষ্ট্রের পর এবার কর্নাটকেও শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সতর্কতাবশে কর্নাটকের উপকূলবর্তী এলাকার সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেঙ্গালুরুতে অতিবৃষ্টিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবরও মিলেছে।

রাজ্যে ভারী বৃষ্টি শুরু হতেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। বন্যাপ্রবণ এলাকা, যেগুলি সহজেই জলমগ্ন হয়ে যায়, সেই জায়গাগুলি পরিদর্শন করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সাময়িক বা পাকাপাকিভাবে স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখতে বলেছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২০০৯ সালে রাজ্যে যখন ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল, সেই সময় ৬০টি গ্রামের বাসিন্দাদের পাকাপাকিভাবে স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল। কিন্তু বন্যার জল কমতেই তারা আবার পুরনো বাসস্থানেই ফিরে এসেছিল। নদীর পাড়েই উচু জায়গায় ত্রাণ কেন্দ্র তৈরি করা যায় কি না, সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ইতিমধ্যেই জেলার ডেপুটি কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা যেন বন্য়াদুর্গত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন এবং দ্রুত উদ্ধার ও ত্রাণকার্য শুরু করেন। যারা নদীর পাড়ে বা নীচু এলাকায় বসবাস করেন, তাদের সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্নাটকের উপকূলবর্তী এলাকা ও মালনাদ অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। একাধিক বাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীর জলস্তর বাড়ায় পার্শ্ববর্তীএলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে। একাধিক চাষের জমিও ক্ষচিগ্রস্ত হয়েছে। মেঙ্গালুরু জেলা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জিকাল্লু গ্রামে ভূমিধস নামে। ওই ধসে মাটি চাপা পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি কেরলের বাসিন্দা ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।

Next Article