Shantiniketan: ইন্দিরা থেকে অমর্ত্য, রামকিঙ্কর থেকে সত্যজিত- বিশ্বভারতী থেকে যাঁরা আজ বিশ্ববরেণ্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Sep 18, 2023 | 8:05 PM

Shantiniketan notable students: ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেমন বিভিন্ন জগতের তাবড় ব্যক্তিত্বরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকে বাড়িয়েছেন বহু কৃতী ছাত্রছাত্রীও। কারা আছেন এই তালিকায়? আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

Shantiniketan: ইন্দিরা থেকে অমর্ত্য, রামকিঙ্কর থেকে সত্যজিত-  বিশ্বভারতী থেকে যাঁরা আজ বিশ্ববরেণ্য
শান্তিনিকেতনের কৃতী ছাত্রছাত্রীরা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

শান্তিনিকেতন: শান্তিনিকেতনের মুকুটে যুক্ত হয়েছে আরও এক পালক। ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি ও দর্শন বিজড়িত শান্তিনিকেতন। একশো বছরেরও আগে, এখানেই তাঁর শিক্ষা চিন্তাকে মূর্ত করেছিলেন বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। রবিবার সরকারি শান্তিনিকেতনকে এই মর্যাদা প্রদান করেছে ইউনেস্কো। ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যেমন বিভিন্ন জগতের তাবড় ব্যক্তিত্বরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকে বাড়িয়েছেন বহু কৃতী ছাত্রছাত্রীও। কারা আছেন এই তালিকায়? আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক –

সৈয়দ মুজতবা আলি: বিশ্বভারতীর একেবারে শুরুর দিকের ছাত্রছাত্রীদের অন্যতম ছিলেন লেখক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক তথা ভাষাবিদ সৈয়দ মুজতবা আলি। তিনিই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্র। পরে বিশ্বভারতীর ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতির অধ্যাপকও হন। তিনি বিশ্বভারতীতে জার্মান ভাষাও পড়াতেন।

সত্যজিৎ রায়: চিত্র পরিচালক, লেখক, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতকার – শিল্প-সাহিত্যের জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবাধ বিচরণ ছিল সত্যজিৎ রায়ের। সারা জীবনের কাজের জন্য অস্কার পুরস্কার জিতেছিলেন এই কিংবদন্তী চিত্র পরিচালক। বিশ্বভারতীতে ওরিয়েন্টাল আর্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি।

রামকিঙ্কর বেইজ: খুব অল্প বয়সেই শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন রামকিঙ্কর বেইজ। পরবর্তীকালে, শান্তিনিকেতনকে আধুনিক শিল্পের উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রে পরিণত করেছিলেন এই কিংবদন্তি ভাস্কর ও শিল্পী। ললিত কলা আকাদেমির ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং পদ্মভূষণে ভূষিত করা হয়েছিল তাঁকে। বিশ্বভারতী থেকে তাঁকে দেশিকোত্তম সম্মানও দেওয়া হয়েছিল।

অমর্ত্য সেন: শান্তিনিকেতনেই জন্ম অমর্ত্য সেনের। পড়াশোনা করেছিলেন পাঠভবনে। পরে, শান্তিনিকেতনের এই ছাত্রই অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। রবীন্দ্রনাথের পর, শান্তিনিকেতনের দ্বিতীয় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

মহাশ্বেতা দেবী: বিশ্বভারতী থেকে ইংরেজি ভাষায় স্নাতক হয়েছিলেন লেখিকা তথা সমাজকর্মী মহাশ্বেতা দেবী। পরবর্তীকালে তিনি জ্ঞানপীঠ পুরস্কার, র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, পদ্মবিভূষণ-সহ বহু সম্মান পেয়েছেন।

বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়: কিংবদন্তী এই শিল্পী ছিলেন কলা ভবনের ছাত্র। পরে একই জায়গায় শিক্ষকতাও করেন। রামকিঙ্কর বেইজের মতো তিনিও ললিতকলা আকাদেমির ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন, পদ্মবিভূষণ পেয়েছিলেন। বিশ্বভারতী তাঁকে দেশিকোত্তম উপাধি দিয়েছিল।

সুচিত্রা মিত্র: কিংবদন্তী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ছিলেন সঙ্গীত ভবনের ছাত্রী।

সুবিনয় রায়: রসায়ন নিয়ে পড়তে এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত খ্যাতনামা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।

শান্তিদেব ঘোষ: ছাত্র হিসেবে আশ্রমে যোগ দিয়েছিলেন শান্তিদেব ঘোষ। পরে তিনি সঙ্গীতভবনের শিক্ষক ও অধ্যক্ষ হন। এই কিংবদন্তী সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পী সঙ্গীত নাটক আকাদেমির ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিশ্বভারতী তাঁকে দেশিকোত্তম পুরস্কার দিয়েছিল।

সাগরময় ঘোষ: শান্তিদেব ঘোষের ছোট ভাই সাগরময় ঘোষ পড়তেন শান্তিনিকেতনের স্কুলে। পরবর্তীকালে তিনি দেশ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হয়েছিলেন। এই পত্রিকাকে তিনি এক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিলেন। দেশিকোত্তম পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল তাঁকে।

কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়: সঙ্গীত ভবনের আরও এক কৃতী ছাত্রী। পরে সঙ্গীতভবনেই শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন, পরে অধ্যক্ষও হন। তাঁকে দেশিকোত্তম উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ৩০০টিরও বেশি গ্রামোফোন ডিস্ক রেকর্ডের কৃতিত্বের অধিকারী তিনি।

ইন্দিরা গান্ধী: মাত্র এক বছর হলেও, পাঠভবনে পড়োশোনা করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তিনি জানিয়েছিলেন, বাইরের পরিস্থিতি যাই হোক, তাঁকে ভিতরে ভিতরে শান্ত থাকার শিক্ষা দিয়েছিল শান্তিনিকেতন।

গায়ত্রী দেবী: কোচবিহারের রাজকুমারীও শান্তিনিকেতনেই পড়াশোনা করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি জয়পুরের মহারানি হয়েছিলেন।

প্রদীপকুমার চক্রবর্তী: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছিলেন এই মলিকিউলার বায়োলজিস্ট। মাইক্রোবায়াল টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের প্রধান বিজ্ঞানী ছিলেন তিনি। ন্যাশনাল আকাদেমি অব সায়েন্সেস, ইন্ডিয়ান আকাদেমি অব সায়েন্সেস এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স আকাদেমি – ভারতের তিনটি বিজ্ঞান আকাদেমির নির্বাচিত ফেলো ছিলেন তিনি।

আর শিবকুমার: কলা ভবনে শিল্পের ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন আর শিবকুমার। পরে শিক্ষক হিসেবে কলা ভবনে যোগ দিয়েছিলেন এবং কলাভবনের প্রধান হয়েছিলেন। শিল্পে ইতিহাসের জগতে তিনি অন্যতম অগ্রগন্য ব্যক্তিত্ব।

Next Article