বেঙ্গালুরু: দিন-প্রতিদিন বেড়েই চলেছে কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক(Hijab Controversy)। বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করাকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা আদালত অবধি গড়িয়েছে। রাজ্য়ের একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে পড়ুয়াদের খণ্ডযুদ্ধও বেঁধেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত মঙ্গলবারই তিনদিনের জন্য স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তিনদিন পার হয়ে গেলেও, এখনও খোলেনি প্রি-ইউনিভার্সিটি, ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা কলেজ। কবে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলবে, এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) জানান, আগামী সোমবার কর্নাটক হাইকোর্টে (Karnataka High Court) হিজাব বিতর্কের শুনানি রয়েছে। আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করেই কলেজগুলি খোলা হবে।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে কলেজ কবে খুলবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ স্থির করা হয়নি এখনও। সোমবার কী হয় দেখব, তারপর আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সহ বাকি মন্ত্রীরা মিলে বৈঠকে বসবেন। ওই বৈঠকেই আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারিই কর্নাটকের প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজগুলি খোলার কথা ছিল কর্নাটকে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে আরও একদিন ছুটি বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় পঠনপাঠন চালু করার কথা বলা হয়েছিল। অন্য়দিকে, ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা কলেজগুলি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি অবধি বন্ধ থাকবে।
এর আগে শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিক ও শীর্ষ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, রাজ্যে আপাতত দশম শ্রেণি অবধি অফলাইনে পঠনপাঠন চলবে।
জানুয়ারি মাসের শেষভাগে কর্নাটকের উদুপি জেলায় একটি সরকারি কলেজে কয়েকজন হিজাব পরিহিত ছাত্রীকে প্রবেশ করতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়। ছাত্রছাত্রীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়, পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও বাঁধে। এরপর একাধিক স্কুল, কলেজেও একই নির্দেশিকা জারি করা হলে বিতর্ক আরও বাড়তে থাকে। শেষে আদালত অবধি জল গড়ায়।
কর্নাটক হাইকোর্টে বর্তমানে হিজাব সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলছে। শুক্রবার আদালতের তরফে পঠনপাঠন শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানো কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এক পড়ুয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করলেও, তা খারিজ করে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ জানান, নির্দিষ্ট সময়ে আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বেঙ্গালুরু: দিন-প্রতিদিন বেড়েই চলেছে কর্নাটকের হিজাব বিতর্ক(Hijab Controversy)। বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করাকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল, তা আদালত অবধি গড়িয়েছে। রাজ্য়ের একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে পড়ুয়াদের খণ্ডযুদ্ধও বেঁধেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত মঙ্গলবারই তিনদিনের জন্য স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তিনদিন পার হয়ে গেলেও, এখনও খোলেনি প্রি-ইউনিভার্সিটি, ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা কলেজ। কবে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলবে, এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই (Basavaraj Bommai) জানান, আগামী সোমবার কর্নাটক হাইকোর্টে (Karnataka High Court) হিজাব বিতর্কের শুনানি রয়েছে। আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করেই কলেজগুলি খোলা হবে।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে কলেজ কবে খুলবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট কোনও দিনক্ষণ স্থির করা হয়নি এখনও। সোমবার কী হয় দেখব, তারপর আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী সহ বাকি মন্ত্রীরা মিলে বৈঠকে বসবেন। ওই বৈঠকেই আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।”
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারিই কর্নাটকের প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজগুলি খোলার কথা ছিল কর্নাটকে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে আরও একদিন ছুটি বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় পঠনপাঠন চালু করার কথা বলা হয়েছিল। অন্য়দিকে, ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা কলেজগুলি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি অবধি বন্ধ থাকবে।
এর আগে শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিক ও শীর্ষ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, রাজ্যে আপাতত দশম শ্রেণি অবধি অফলাইনে পঠনপাঠন চলবে।
জানুয়ারি মাসের শেষভাগে কর্নাটকের উদুপি জেলায় একটি সরকারি কলেজে কয়েকজন হিজাব পরিহিত ছাত্রীকে প্রবেশ করতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়। ছাত্রছাত্রীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়, পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধও বাঁধে। এরপর একাধিক স্কুল, কলেজেও একই নির্দেশিকা জারি করা হলে বিতর্ক আরও বাড়তে থাকে। শেষে আদালত অবধি জল গড়ায়।
কর্নাটক হাইকোর্টে বর্তমানে হিজাব সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলছে। শুক্রবার আদালতের তরফে পঠনপাঠন শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানো কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এক পড়ুয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করলেও, তা খারিজ করে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমণ জানান, নির্দিষ্ট সময়ে আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে।