ভোপাল: শুধুই কর্নাটক (Karnataka) নয়, হিজাব বিতর্কের (Hijab Controversy) আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও। স্কুল-কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অনুমতি রয়েছে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। একদিকে যেখানে বিতর্কের আঁচ ঠাণ্ডা করতে রাজ্যে তিনদিনের জন্য সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, সেখানেই মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “হিজাব স্কুল ইউনিফর্মের অংশ নয়, তাই হিজাব পরিহিত মুসলিম মহিলাদের স্কুলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।”
মঙ্গলবারই হিজাব বিতর্কে কর্নাটকের হাইকোর্টের তরফে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করা হয়। তবে এই বিতর্ক সহজে থামার নয়, বরং দেশের অন্যান্য প্রান্তেও তা পৌঁছতে শুরু করেছে। মঙ্গলবারই মধ্য প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী ইন্দর সিং পরমার হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বিঘ্নতা তৈরির চেষ্টা চলছে। আমাদের দেশে, সাধারণ মানুষ নিজেদের বাড়িতে বিভিন্ন রীতি-রেওয়াজ অনুসরণ করলেও, স্কুলে সমস্ত পড়ুয়াদেরই নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হয়। কিছু লোকজন ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের আবহাওয়া খারাপ করার চেষ্টা করছে।”
মধ্য প্রদেশে পড়ুয়াদের পোশাকবিধিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “স্কুলের সমস্ত পড়ুয়াদের মধ্যে একতা ও অনুশাসনের বোধ তৈরি করার জন্য মধ্য প্রদেশ সরকার কঠোর পোশাকবিধি চালু করবে। আগামী পাঠক্রম থেকে আমরা স্কুলের ইউনিফর্ম ও ড্রেস কোড নিয়ে নিয়মবিধি চালু করব। হিজাব স্কুলের পোশাকের অংশ নয় এবং মধ্য প্রদেশে এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। আমরা অবশ্যই হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করব।”
গত জানুয়ারি মাসে কর্নাটকের উদুপি জেলায় এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। হিজাব পরিহিত ছয় পড়ুয়াকে ক্লাস করতে বাধা দিলে বিতর্ক শুরু হয়। এরপরই স্কুল, কলেজের সামনে বিক্ষোভ, পাল্টা প্রতিবাদে গেরুয়া শাল পরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অনেকেই আবার হিজাব পরার সমর্থন জানিয়ে নীল স্কার্ফও পরেন। বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কর্নাটকে চরমে পৌঁছেছে এই বিতর্ক। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব পড়ছে। পড়ুয়ারা এলেও একদিকে যেমন তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার কোথাও বিতর্ক এড়াতে স্কুল-কলেেজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
গতকালই হিজাব নিয়ে বিতর্ক থামাতে, আগামী তিন দিন কর্নাটকের সমস্ত স্কুল এবং কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন মুখ্য়মন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তিনি মঙ্গলবার বিকেলে টুইট করে বলেন, “আমি সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক এবং স্কুল ও কলেজের ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি কর্নাটকের জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আবেদন করছি। আমি আগামী তিন দিনের জন্য সমস্ত হাই স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
ভোপাল: শুধুই কর্নাটক (Karnataka) নয়, হিজাব বিতর্কের (Hijab Controversy) আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও। স্কুল-কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অনুমতি রয়েছে কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। একদিকে যেখানে বিতর্কের আঁচ ঠাণ্ডা করতে রাজ্যে তিনদিনের জন্য সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, সেখানেই মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “হিজাব স্কুল ইউনিফর্মের অংশ নয়, তাই হিজাব পরিহিত মুসলিম মহিলাদের স্কুলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।”
মঙ্গলবারই হিজাব বিতর্কে কর্নাটকের হাইকোর্টের তরফে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করা হয়। তবে এই বিতর্ক সহজে থামার নয়, বরং দেশের অন্যান্য প্রান্তেও তা পৌঁছতে শুরু করেছে। মঙ্গলবারই মধ্য প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী ইন্দর সিং পরমার হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বিঘ্নতা তৈরির চেষ্টা চলছে। আমাদের দেশে, সাধারণ মানুষ নিজেদের বাড়িতে বিভিন্ন রীতি-রেওয়াজ অনুসরণ করলেও, স্কুলে সমস্ত পড়ুয়াদেরই নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হয়। কিছু লোকজন ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের আবহাওয়া খারাপ করার চেষ্টা করছে।”
মধ্য প্রদেশে পড়ুয়াদের পোশাকবিধিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “স্কুলের সমস্ত পড়ুয়াদের মধ্যে একতা ও অনুশাসনের বোধ তৈরি করার জন্য মধ্য প্রদেশ সরকার কঠোর পোশাকবিধি চালু করবে। আগামী পাঠক্রম থেকে আমরা স্কুলের ইউনিফর্ম ও ড্রেস কোড নিয়ে নিয়মবিধি চালু করব। হিজাব স্কুলের পোশাকের অংশ নয় এবং মধ্য প্রদেশে এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। আমরা অবশ্যই হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করব।”
গত জানুয়ারি মাসে কর্নাটকের উদুপি জেলায় এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়। হিজাব পরিহিত ছয় পড়ুয়াকে ক্লাস করতে বাধা দিলে বিতর্ক শুরু হয়। এরপরই স্কুল, কলেজের সামনে বিক্ষোভ, পাল্টা প্রতিবাদে গেরুয়া শাল পরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অনেকেই আবার হিজাব পরার সমর্থন জানিয়ে নীল স্কার্ফও পরেন। বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কর্নাটকে চরমে পৌঁছেছে এই বিতর্ক। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব পড়ছে। পড়ুয়ারা এলেও একদিকে যেমন তাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার কোথাও বিতর্ক এড়াতে স্কুল-কলেেজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
গতকালই হিজাব নিয়ে বিতর্ক থামাতে, আগামী তিন দিন কর্নাটকের সমস্ত স্কুল এবং কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন মুখ্য়মন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তিনি মঙ্গলবার বিকেলে টুইট করে বলেন, “আমি সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক এবং স্কুল ও কলেজের ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি কর্নাটকের জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আবেদন করছি। আমি আগামী তিন দিনের জন্য সমস্ত হাই স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা