হাইকোর্টের মুখ পুড়ল সুখু সরকারের। বকেয়া টাকা মেটাতে পারেনি সরকার, তাই মঙ্গলবার হিমাচল ভবন নিলামের নির্দেশ দিল হিমাচল প্রদেশ হাই কোর্ট। হাই কোর্টের আরও জানিয়েছে যে আধিকারিকদের কাজের গাফিলতিতেই ঘটেছে এই অঘটন। তাই কোথায় কার ভুলে এত টাকা বকেয়া হল, তা খুঁজে বার করতেও বিদ্যুৎ বিভাগের মুখ্য আধিকারিককে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গড়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। মঙ্গলবার এই রায় দেওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর সরকারের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে বিরোধী দল বিজেপি। এই ঘটনার জন্য কংগ্রেস সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তাঁরা।
জানা গিয়েছে একটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার কাছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। প্রথমে বকেয়া টাকার অঙ্ক ছিল ৬৪ কোটি। পরে সুদ সমেত সেই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটিতে। লাহুল-স্পিতি এলাকায় চেনাব নদীতে ৪০০ মেগাওয়াটের সেলি হাইড্রো প্রজেক্টের সঙ্গে এই মামলার যোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও এই বকেয়া টাকা মেটাতে বলে রাজ্য সরকারকে সাবধান করেছিল উচ্চ আদালত। এমনকি কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিল। কিন্তু সরকার তারপরেও বকেয়া মেটায়নি। আদালত আরও বলে যে, এই টাকা রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে দিতে হবে। যা আদতে রাজ্যের সাধারন মানুষের টাকা। তার প্রভাব গিয়ে পড়বে সাধারণ মানুষের উপর। তাই হাই কোর্ট ওই বিদ্যুৎ সংস্থাকে হিমাচল ভবন নিলাম করে টাকা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বকেন, “আমি উচ্চ আদালতের রায় পড়িনি। তবে অগ্রিম প্রিমিয়াম একটি নীতির উপর ভিত্তি করেই তৈরি, যার অধীনে ২০০৬ সালে জ্বালানি নীতি তৈরি হয়েছিল। আমরা প্রতি মেগাওয়াটের একটি রিজার্ভ মূল্য রেখেছিলাম, যার উপর ভিত্তি করে কোম্পানিগুলো বিড করেছিল।”
কংগ্রেস সরকারকে তোপ দেগে বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুর বলেন, “হিমাচল ভবন নিলাম করাটা আমাদের রাজ্যের পক্ষে খুবই অপমানজনক। সরকার যদি এইভাবে আর্থিক বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করে তাহলে আমাদের সমস্ত সম্পদই নিলাম হয়ে যাবে।”