Hindustan Motors: একসময় তৈরি হত আইকনিক অ্যাম্বাসাডর, সেই হিন্দমোটরের মামলায় বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
Hindustan Motors: সম্প্রতি হিন্দমোটরের পড়ে থাকা সেই জমির একাংশ টিটাগড় ওয়াগনকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মেট্রো ও ট্রেনের কোচ তৈরির কাজ হবে সেখানে।

নয়া দিল্লি: হিন্দমোটরের জমি নিয়ে বিতর্কের অবসান। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিদ্ধান্তই সঠিক বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। উত্তরপাড়ায় হিন্দুস্থান মোটরস কোম্পানির অ্যাম্বাসাডর কারখানার ৩৯৫ একর জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়েছিল। ২০২২ সালে তা অধিগ্রহণ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তারপর থেকেই চলছিল মামলা। রাজ্য সরকারে সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলে দাবি করে হিন্দমোটর। এবার সুপ্রিম কোর্টে কাটল জট।
২০২২ সালে রাজ্য জমি অধিগ্রহণের পর হিন্দমোটরের তরফে ল্যান্ড ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। সেখানে রায় যায় রাজ্যের পক্ষে। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দমোটর। সেখানেও রায় দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের পক্ষে। গত মে মাসে হাইকোর্ট রায় দেওয়ার পর সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দমোটর।
এদিকে, সম্প্রতি রাজ্য টিটাগড় ওয়াগনকে ওই জমির একাংশ লিজে দিয়েছে। গত সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় সেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মেট্রো ও বন্দে ভারতের কোচ তৈরির জন্য কারখানা সম্প্রসারণ করতে চায় টিটাগড় ওয়াগন। সেই কারণেই ওই জমি নিয়েছে তারা। এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমে হিন্দমোটর দাবি করে, তাদের জমি বেআইনিভাবে নিয়েছে রাজ্য, মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
এরপর আজ, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ওঠে। রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি ও রাকেশ দ্বিবেদী। হিন্দমোটরের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শ্যাম দেওয়ান। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, হাইকোর্ট যে যুক্তিতে রায় দিয়েছে তা খণ্ডন করার কোনও যুক্তি তাদের কাছে নেই। অর্থা রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিক বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগারত্না এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল এস্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যাক্ট সেকশন ৬(৩) অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ করেছিল রাজ্য। ওই আইনে বলা আছে, কোনও সংস্থা শিল্প গড়বে বলে জমি নেওয়ার পর যদি শিল্প না করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখে, তাহলে তা অধিগ্রহণের ক্ষমতা থাকবে রাজ্য সরকারের হাতে। উল্লেখ্য, একসময় আইকনিক অ্যাম্বাসাডর গাড়ি তৈরি হত এই হিন্দমোটরের কারখানায়। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। গত প্রায় ১০ বছর ধরে পড়ে রয়েছে সেই জমি।
