Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘মেয়ে জন্মেছে কেন?’ স্ত্রীকে হাতুড়ি, স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে আঘাত স্বামীর! মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে শেষে…

Crime: নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তাঁর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই পণের দাবিতে অত্যাচার শুরু হয়। স্বামীর সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়িও নির্যাতন করতেন। কয়েক মাস আগে তাদের কন্যা সন্তান হয়। এরপরই নির্যাতন আরও বাড়ে।

'মেয়ে জন্মেছে কেন?' স্ত্রীকে হাতুড়ি, স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে আঘাত স্বামীর! মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়ে শেষে...
প্রতীকী চিত্র।Image Credit source: Meta AI
Follow Us:
| Updated on: Apr 14, 2025 | 10:07 AM

দেহরাদুন: হাতে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত, মুখে স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে গর্ত করে দিয়েছে স্বামী। স্ত্রীর অপরাধ কী? কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। মেয়ে হওয়ায় এমনই পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হল এক মহিলাকে। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই মহিলা। প্রথমে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। শেষে মুখ্যমন্ত্রী এবং জাতীয় মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানানোর পর ওই মহিলার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে। গত মাসে এই ঘটনাটি ঘটলেও, সম্প্রতিই সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতনের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে। ওই মহিলার অভিযোগ, কন্যা সন্তান হওয়ার কারণেই তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করে। চুলের মুঠি ধরে মার, মুখে-হাতে স্ক্রু-ড্রাইভার ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে।

নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তাঁর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই পণের দাবিতে অত্যাচার শুরু হয়। স্বামীর সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়িও নির্যাতন করতেন। কয়েক মাস আগে তাদের কন্যা সন্তান হয়। এরপরই নির্যাতন আরও বাড়ে। এতটাই মারধর করা হয় যে ওই মহিলা দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

তার অভিযোগ, ভিডিয়ো প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ প্রথমে অভিযোগ দায়ের করতে চায়নি। পরে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পোর্টালে অভিযোগ জানান। জাতীয় মহিলা কমিশনেরও দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি, ডিভোর্সে ক্ষতিপূরণ যাতে দিতে না হয়, তার জন্য শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ নথি দেওয়ার নাম করে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে দরজা বন্ধ করে ব্যাপক মারধর, নির্যাতন করে। স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুনতে পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

গত ৩০ মার্চ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। মহিলার মেডিক্যাল রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।