নয়া দিল্লি: প্রত্যেকদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশের একের পর এক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ করার বার্তা দিল কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সব রাজ্যকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। কোথায় ডেল্টা, কোথায় ওমিক্রনের উপস্থিতি রয়েছে, সেটা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে ওমিক্রন চিহ্নিত জন্য সঠিক পদ্ধতি মেনে কাজ করতে হবে। বিশেষত জেলা স্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে হয়েছে। পরিস্থিতি বিচার করে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করে ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কোনওভাবেই যাতে সুরক্ষা বিধি অমান্য না করা হয়, সে দিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। উৎসবের মরশুমে বিধি-নিষেধ পালনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসা ও টিকাকরণের ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি, মানুষের মধ্যে যাতে অযথা আতঙ্ক না ছড়ায়, তার জন্য রাজ্যগুলিকে নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠক করার কথা বলেছে কেন্দ্র।
মোট আটটি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আমরি, অ্যাপোলো, বেলভিউ, উডল্যান্ডস, সিএমআরআই, চার্ণক, ফর্টিস হাসপাতাল। সরকারি হাসপাতাল হিসেবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই হাসপাতালগুলির আইসোলেশন বিভাগকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম স্তরটি থাকছে কোভিড আক্রান্তদের জন্য। দ্বিতীয় স্তরটি থাকছে কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্ত হতে পারেন বলে। এর পাশাপাশি শেষে আরও একটি স্তর রাখা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে যেখানে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের রাখা হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে গত শুক্রবার। সেখানে বলা হয়েছে ১০ রাজ্যে কেন্দ্রের ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম’ যাবে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মিজোরাম, কর্ণাটক, বিহার, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাবের নাম। রাজ্যে এসে ওই টিমখোঁজ নেবে সংক্রমণের হার রাজ্যে কী রকম। টিকা ঠিকমতো দেওয়া হচ্ছে কি না, কোভিডের জন্য দেশজুড়ে যে বিধিনিষেধ চলছে তা যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কি না। রাজ্যে ঘুরে সমস্ত তথ্য আদায় করে তা কেন্দ্রের কাছে পেশ করবে প্রতিনিধি দলগুলি।
বছর শেষে করোনার নয়া আতঙ্ক বিশ্বজুড়ে। দেশ তথা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ, একমাসেই বিশ্বের ১১৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪২২। বিশ্বেও শতাধিক দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় তিনগুন বেশি হারে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, এমনটাই বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন : Covaxin for Children: কিশোর-কিশোরীদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত অবৈজ্ঞানিক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক?