নয়া দিল্লি: ঠিক যেন শাহিদ কাপুরের ‘ফারজ়ি’ ওয়েব সিরিজের মতো। কিন্তু এটা কোনও গল্পকথা নয়, বাস্তব। রমরমিয়ে চলছিল জাল নোটের কারবার। রাজস্থান থেকে শুরু করে দিল্লি পর্যন্ত ছড়িয়েছিল সেই বেআইনি কারবার। গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিশ সেই গ্যাং-এর পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে ১৯ লাখ টাকারও বেশি জাল নোট। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই জাল নোটগুলি ছাপানো হত রাজস্থানের আজমেঢ়ে। আর তারপর সেগুলি ছড়িয়ে দেওয়া হত দিল্লি চত্বরে।
গোপন সূত্র মারফত সেই খবর আগে থেকেই পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। সেই মতো অক্ষরধাম মন্দির চত্বরে স্পেশাল পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) রবীন্দ্র সিং যাদবের নেতৃত্বের দিল্লি পুলিশের একটি দল হানা দেয়। পুলিশের কাছে খবর ছিল, ওই এলাকায় বিপুল পরিমাণ জাল নোট হাতবদল হবে। পুলিশের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ে যায় এই জাল নোটচক্রের কিংপিন সকুর মহম্মদ ও তার সাগরেদ লোকেশ যাদব ধরা পড়ে যায়। তাদের থেকে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে জাল নোট। হুবহু ৫০০ টাকার নোটের মতো, কিন্তু পুরোটাই নকল। উদ্ধার হওয়া জালনোটের মোট অঙ্ক ছিল প্রায় ৬ লাখ টাকা।
ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত আরও তিনজনের সন্ধান পায় পুলিশ। হিমাংশু জৈন, শিব লাল ও সঞ্জয় গোদারা, এই তিনজনই জাল নোটের সাপ্লাই দিত বলে পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে সকুর মহম্মদ। জেরাপর্বে পুলিশ আরও জানতে পারে যে এই শিব লালের একটি ছাপাখানাও রয়েছে আজমেঢ়ে এবং সেখান থেকেই এই জালনোট ছাপানোর কারবার চলে। সেই মতো রাজস্থানেও হানা দেয় পুলিশ এবং আজমেঢ় থেকে ওই তিনজনকে পাকড়াও করে। রাজস্থানে হানা দিয়ে প্রায় ১৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে দুটি গাড়ি ও তিনটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় মহম্মদ স্বীকার করেছে যে ফারজ়ি ওয়েব সিরিজ দেখেই জাল নোট বানানোর ব্যবসা তার মাথায় ঢোকে। ২০১৫ সালে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিতে আজমেঢ়ে গিয়েছিল সে। সেই সময়েই শিব লালও চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গিয়েছিল আজমেঢ়ে। এরপর সেখান থেকেই এই অসৎ ব্যবসার ফন্দি এঁটেছিল তারা।