পটনা: গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল আগেই। সন্দেহ ছিল তদন্তে গিয়ে মোটা টাকার ঘুষ খান ড্রাগস ইন্সপেক্টর। সেই সন্দেহের বশেই চালানো হয় তল্লাশি অভিযান। বিছানার গদি তুলতেই চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদের। খাট জুড়ে থরে থরে সাজানো মোটা টাকার বান্ডিল। এত টাকা যে সারাদিন গুনেও মোট অঙ্কের হিসাব করা যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পটনায়। সেখানে জিতেন্দ্র কুমার নামক এক ড্রাগ অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই একাধিক সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ঘুষ ও তোলাবাজির অভিযোগ আসছিল। সেই কারণেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শনিবার পটনা সহ বিহারের মোট চারটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এরমধ্যে সবথেকে বেশি পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয় ওই ড্রাগ অফিসারের বাড়ি থেকেই।
তদন্তকারী দল শনিবার জিতেন্দ্র কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েই হতবাক হয়ে যায়। তাঁর বিছানার নীচ থেকেই টাকার বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, ১০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকার নোটের বান্ডিল ছিল। গোটা বিছানা জুড়েই টাকার বান্ডিলগুলি রাখা ছিল। টাকার পরিমাণ এতটাই বেশি যে বিকেল থেকে টাকা গোনা শুরু করলেও রাতভর গুনেও সেই টাকার হিসাব করা যায়নি। আনুমানিক কয়েক কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর কাছ থেকে।
নগদ টাকার পাশাপাশি ওই অফিসারের কাছ থেকে বেশ কিছু সম্পত্তির কাগজও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ সোনা ও রূপোর গয়নাও উদ্ধার করা হয়েছে। চারটি বিলাসবহুল গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখনও অবধি মোট কত টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে, তার হিসাব করা যায়নি। বিভিন্ন সময়ে তদন্তে গিয়েই ঘুষ নিয়েছেন ওই আধিকারিক, এমনটাই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং পরবর্তী তদন্ত শুরু করা হয়েছে।